গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএসএমএমইউ

সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং ও শুক্রবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং সম্প্রতি দুটি শিশুর সুন্নতে খাতনা করাতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসক জড়িত ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন চিকিৎসকই এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নন। একই সাথে এ ঘটনাকে জড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তার প্রতি ইঙ্গিত করে যে সকল সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা কোনোরূপ সত্য নয় এবং মৃত্যুর এ ঘটনার সঙ্গে কোন সম্পর্ক নাই ও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সুন্নতে খাতনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা কোন স্বার্থান্বেষী মহলের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

সম্প্রতি পর পর দুটি সফল ক্যাডাভারিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট, লিভার ট্রান্সপ্লান্ট এর মত সর্বাধুনিক চিকিৎসা সেবা, মানসম্মত মেডিকেল উচ্চ শিক্ষার প্রসার, উন্নত ও ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে চলছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমানো এবং বিদেশে রোগী যাবার প্রবণতা কমানোর জন্য দেশের প্রথম সেন্টার বেইজড সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা প্রদান শুরু হয়েছে। এ হাসপাতালে প্রতিনিয়ত সফলভাবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হচ্ছে। এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা পেয়ে রোগীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। প্রতিনিয়ত এ হাসপাতালের রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের চ্যালেঞ্জিং অনেক উদ্যোগ সফল হয়েছে। পর পর দুটি জোড়া পেটে ও মেরুদন্ডে জোড়া লাগানো শিশু অপারেশনের মাধ্যমে সফলতার সঙ্গে আলাদা করা হয়েছে। স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে টেস্ট টিউব বেবির জন্ম হয়েছে। এখানে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট চালু করা হয়েছে। শিশুদের কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট চালু করা হয়েছে। অনলনাইন এপয়েন্টমেন্ট ও রিপোর্টিং করা হচ্ছে। দীর্ঘ ছয় বছর বন্ধ থাকা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হল বর্তমান উপাচার্য চালু করেছেন। সাধারণ জরুরি বিভাগ ও স্ট্রোক সেন্টার চালু হয়েছে। গবেষণা ফান্ডের বরাদ্দ পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের জেনোম সিয়েকোয়েন্সিংসহ বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল নিয়মিত প্রকাশ করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্সী ও নন রেসিডেন্সী ভর্তি পরীক্ষা নিয়মিত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। জার্নাল ইনডেক্সিং করা হয়েছে ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ চালু করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাননীয় প্রধান বিচারপতিসহ দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রান্তিক মানুষ সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। এখানে মন্ত্রীপরিষদের মাননীয় সদস্যবৃন্দ, মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সেবার বিষয়ে তারা বর্তমান প্রশাসনের প্রশংসা করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে। বর্তমান প্রশাসনের আমলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে যা ছিল না বর্তমানে প্রথমবারের মত অনেক কিছুই বাস্তবায়িত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পর সাধারণ জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। এরকম অনেক কিছু বাস্তবায়ন হয়েছে যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তারপরও এক শ্রেণীর লোক সমালোচনা করেই যাচ্ছে। অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর অবিচল প্রত্যয়ে বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You