উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তিনি এক সময় ছাত্রনেতা ছিলেন। কিন্তু ডামি সরকারের ডামি মন্ত্রী হয়ে উনি সত্য কথা বলতে ভুলে গেছেন। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে, সেটা ভুলে গেছেন। এক ধরণের দস্যুবৃত্তির মানসিকতা নিয়ে তারা ক্ষমতা দখল করে আছেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কথাবার্তা যেভাবে বলেন, তাতে মনে হয় উনি বিএনপির বিকল্প জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। বিএনপির অনেক গোপন কথা উনি জেনে যাচ্ছেন। এগুলো আসলে জনগণের সঙ্গে তামাশা ও প্রতারণা।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের কাছে বিএনপি নালিশ করেছে ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তারা কী করেছেন? শুধু দেশে না বিদেশে গিয়ে, এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে খুব জোরাল কণ্ঠে কথা বলেছেন। আর কিসের নালিশ! উনি (ওবায়দুল কাদের) কি শুনেছেন, কী কথাবার্তা হয়েছে? উনি কি জানেন? আমরা তো জানি না।
তিনি বলেন, বিদেশি কোনো রাষ্ট্র এবং বিদেশি কোনো কর্মকর্তা আসলে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক দেশের কর্মকর্তারা আসলে সরকারি দল এবং বিরোধী দলসহ সবার সঙ্গেই বসেন। এটা তো রেওয়াজ, এটা তো দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। তারা ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সে কারণে বিএনপি নেতারা দেখা করতে গেছেন। কিন্তু কী আলোচনা হয়েছে, কী কথা হয়েছে- আমরা তো কেউ জানি না। আমাদের নেতারা যারা গেছেন, তারা তো কিছু বলেননি। তাহলে উনি জানলেন কী করে? তাহলে উনি কি কোনো গোপন ডিভাইস কোথাও রেখেছিলেন?
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, খেসারত তারা (আওয়ামী লীগ) দিয়েছেন, আমরা দেইনি। যে বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা বলছেন, তার পরিণতি আওয়ামী লীগকে ভোগ করতে হবে। আর ওবায়দুল কাদেররা যে মিথ্যাচার করছেন, তারও পরিণতি ভোগ করতে হবে।