
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ২২ টি ইউনিয়ন কৃষকরা। আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
জানা যায়, দেশের বেশির ভাগ কৃষক শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করেন। ফলে গ্রীষ্মকাল আসতে আসতে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। বিদেশ থেকে আমদানির পরও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চলতে থাকায় কৃষি বিভাগ দেশে গ্রীষ্মকালেও পেঁয়াজ চাষের পদক্ষেপ নিয়েছে। পেঁয়াজ চাষে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে লাখ টাকা আয় করছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য কৃষকরাও ঝুকছেন নতুন গ্রীষ্মকালীন এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে।
কৃষক মতিউর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি ১০ কাঠা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে বীজ ও কিছু আর্থিক সহযোগিতাও পেয়েছি। পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবার বাজারে পেঁয়াজের দামও ভালো।
কৃষি সুত্রে বলেন, দেশে পেঁয়াজের সংকট কমাতে সম্ভাবনাময় এই জাত চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করেছিল। পেঁয়াজগুলো আকারে অনেক বড়। ৬-৭টি পেঁয়াজ দিয়েই ওজন এক কেজি হয়। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। যার ফলে কৃষকরা এ পেঁয়াজ চাষে সফলতা অর্জন করেছে। এতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং দেশে পেঁয়াজ সংকট কমে যাবে। আগামী বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।