সৌদি আরবের ইতিহাসে উষ্ট্রারোহী টহল বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন প্রথম কোনো সৌদি নারী সদস্য। দেশটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাঁর অভিষেক এই হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ছিল সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সেদিনই সেই নারী সদস্যের অভিষেক হয়। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা যায়, নিরাপত্তা টহলের কাজে ব্যবহৃত বাহন উটের পিঠে চড়ছেন সেই নারী সদস্য। সৌদি অভিনেতা এবং টেলিভিশন উপস্থাপক ফায়েজ আল মালকির সঙ্গে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে সেই নারী বলেন, টহল বাহিনীতে প্রথম সৌদি নারী হিসেবে যোগদানের সুযোগ পেয়ে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।
সৌদি আরব ২০১৯ সালে নারীদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের অনুমতির ঘোষণা দিয়েছিল। দেশটিতে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের জন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। নানা স্তরে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জোরালো পদক্ষেপগুলোয় দেশটির সামাজিক কাঠামোয় এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন।
সৌদিতে নারীদের বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য যেসব পরিবর্তন এসেছে তার মধ্যে রয়েছে—পরিবারের পুরুষ সদস্য ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি মিলেছে সেখানকার নারীদের, নির্বাচনে লড়তে পারবেন এখন সৌদি নারীরা, স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখতে পারবেন, সেনাবাহিনীতেও যোগ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এখন সৌদি নারীরা। সৌদি নারীরা সাইকেল র্যালিতেও অংশ নিয়েছেন, এছাড়াও ট্রেন চালক, ক্রেন চালক, ট্যাক্সি চালক হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
ধর্মীয় রীতিনীতি ও সামাজিক সংস্কারের এসব উদ্যোগ সৌদি প্রিন্সের ‘ভিশন ২০৩০’-এর অংশ। এসব সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তেলনির্ভর অর্থনীতির দেশ সৌদিকে আধুনিক ও উদারবাদী করে গড়ে তুলতে চান সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান।