চুয়াডাঙ্গার বাজারে কমেনি পেঁয়াজের দাম। সেইসাথে বেড়েছে মাংস, মাছ ও সব ধরনের মসলার দাম। তবে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা শহরের নিচের বাজার ঘুরে দামের এই চিত্র দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গায় এখনো পর্যাপ্ত সরবরাহ বাড়েনি পেঁয়াজের। তাই সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও কেজিতে ২০ টাকা করে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে ১১০ টাকায়। আর খুচরা পর্যায়ে তা বিক্রি করা হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দামের সাথে পাল্লা দিয়েছে সব ধরনের মসলার দাম। কেজিতে সব ধরনের মসলা ২০ টাকা বাড়তি। মসলার মধ্যে এলাচের দাম ধাপে ধাপে দ্বিগুণ হয়েছে। সব ধরনের সবজি দামে ১০ থেকে ১৫ টাকা কম। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের চাহিদার ব্রয়লার মুরগি সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা কমে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে লেয়ার ও প্যারিস মুরগির। কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বাড়তি এই দুই আমিষ পণ্যে। তবে সোনালি মুরগির দাম কম। আর আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। এদিকে ১০ টাকা কমেছে ডিমে। এক খাচি ডিম এখন ৩২০ টাকা।
সামনে রোজার মাস। এ সময়ে রোজার পণ্যে দাম বাড়ছে। ছোলার ডালসহ ও অন্যান্য সব ধরনের ডালের দামে কেজিতে ২০ টাকা বাড়তি। সয়াবিন তেল লিটার ১৭২ টাকা আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে খির খেজুর আমদানি হওয়ার পর থেকে দাম বাড়তি। এদিকে রাতে চিনির দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়ার খবর শোনার পর থেকেই খোলা চিনি রাতে বাজারে বিক্রি করা হয়েছে ১৫০ টাকা কেজিতে। দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত হওয়ার খবর শোনাার পর থেকেই সকালে আগের দামেই বিক্রি হয়েছে কেজিতে ১৩৮ টাকা দরে। আর অন্যান্য সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক ভাবে ওঠানামা করছে।
বাজার করতে আসা ক্রেতা ভুবন বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দামের কারণে হাফ কেজি কিনেছিলাম। আজ আবার এককেজি কিনলাম, দাম নিল ১৪০ টাকা। সামনে রোজা আসছে কিন্তু পেঁয়াজের দামটাও কমছে না। কিন্তু সবজি ও মাছের দাম সহনীয় আছে। নিত্যপণ্যের দাম যদি কমতো তাহলে বেতনের সাথে খাপ খাওয়ানো যেত। আয়ের ছাড়া বাজারে ব্যয় বেশি প্রতিনিয়ত। আরেক ক্রেতা ভজন বলেন, রোজার পণ্য ডালের দাম বৃদ্ধি। সব ধরনের ডাল কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। মুরগির মাংসের দাম বৃদ্ধি। আবার মসলার দাম বৃদ্ধি বাড়ছে। বাজারে নিয়মিত মনিটরিং বাড়াতে হবে তাহলে বাজার দর সহনীয় থাকবে। প্রত্যেকটা নিত্যপণ্যের বাজারে নেই মূল্যতালিকা। সামনে রোজার মাস তাই মূল্য লেখাটা খুব জরুরী।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং বাড়ানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। বাজার যেন রোজার আগেই স্বাভাবিক থাকে সেজন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আর পেঁয়াজের দাম কমানোর প্রশাসন থেকে আলোচনা চলছে। অচিরেই পেঁয়াজের দাম কমবে। তবে সবজি ও মাছের দাম কমেছে। আশা করছি বাকি যে পণ্যগুলোর দাম বাড়তি সেটাও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে।