বিদ্যুৎ যে বেশি ব্যবহার করবে, তাকে মূল্য বেশি দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

বিদ্যুৎ যে বেশি ব্যবহার করবে, তাকে মূল্য বেশি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুতে অনেক উৎপাদন খরচ। আমরা কিন্তু ভর্তুকি দিচ্ছি। তবে এখন থেকে যে বেশি ব্যবহার করবে, তার মূল্য বেশি দিতে হবে। সেভাবেই করতে চাই। 

রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। শুধু নেয়ার জন্য কোনো প্রকল্প নেবেন না; জনগণের কাজে লাগে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণের দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। জলাধার যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। যারা বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন, তাদের বিদ্যুৎ বিল অন্যদের চেয়ে বেশি হবে। অর্থাৎ তাদের বিদ্যুতের রেট অন্যদের চেয়ে বেশি হবে। নির্দিষ্ট ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারে কম বিল দেবেন স্বল্প আয়ের ব্যবহারকারীরা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ভূমি ও গৃহহীন মানুষ থাকবে না। প্রথমে বিভাগ, তারপর জেলা পর্যায়ে খাদ্য সংরক্ষণাগার করা হবে। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা হবে। আশ্রয়ণসহ বিভিন্ন প্রকল্পে পুনর্বাসিতদের খোঁজ-খবর রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অনেক দায়িত্ব আছে। সরকারি কর্মচারীরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চাকরি করে। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয়। এজন্য জনপ্রতিনিধিদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা রক্ষা করুন। কমিশনের কথা চিন্তা করে প্রকল্প নেয়া যাবে না। জনগণ ও প্রকৃতি-পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই প্রকল্প নিতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থ সাশ্রয় করে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এ শক্তিশালী স্থানীয় সরকারের মাধ্যমেই দেশ গড়তে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত উন্নত করতে শক্তিশালী স্থানীয় সরকার করার উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ।

এ সময় তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সমন্বিত চাষাবাদ বা সমবায়ের মাধ্যমে চাষাবাদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক এলাকায় মাস্টারপ্ল্যান করে কাজ করলে জমির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও উৎপাদিত পণ্যের যথাযথ বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You