আপনার সঙ্গে প্রতিশ্রুতবদ্ধ থেকেও যদি নিশ্চিত হন যে সঙ্গী প্রতারণা করছে, তখনই তার কাছ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেবেন। কারণ প্রশ্রয় পেলে সে বারবারই প্রতারণা করে যাবে। কিন্তু তার আগে তো নিশ্চিত হতে হবে। কেবল অনুমানের ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। তাহলে কীভাবে বুঝবেন যে সঙ্গী প্রতারণা করছে? সেজন্য এই লক্ষণগুলোর দিকে খেয়াল করুন-
অনলাইনে আড্ডা দেওয়া
অনলাইন কোর্টিং হলো অনলাইনে রোমান্টিক সংযোগ খোঁজার একটি কাজ, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে যদি সে এমনটা করে থাকে তবে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। যদি আপনার সঙ্গী গোপনে বিপরীত লিঙ্গের কাউকে ফলো করে এবং তার ছবিতে লাইক করে বা ঘন ঘন টেক্সট পাঠায়, তবে এটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সতর্কতা সংকেত পারে।
মিথ্যা বলা
যদি কোথায় আছে তা জিজ্ঞেস করলে উত্তরে আপনাকে সত্যি কথা না বলে তবে এটিও আপনার জন্য সতর্ক সংকেত। হয়তো অন্য কারও সঙ্গে সময় কাটাতে পারে কিন্তু আপনাকে বলছে যে সে বাসায় আছে। যদি সত্যিটা আপনার সামনে আসে তবে এড়িয়ে যাবেন না। কারণ এই সত্যি একটা সময় আপনার বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
প্রাক্তনের সঙ্গে কথা বললে
আপনার সঙ্গী যদি তার প্রাক্তনের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রাখে বা যোগাযোগের চেষ্টা করে তবে বুঝে নেবেন যে সে একজন প্রতারক। কারণ তার হৃদয়ে এখনও প্রাক্তনের জন্য জায়গা রয়েছে, যা আপনার কাছে স্বীকার করে না। এভাবে আপনাকে না জানিয়ে প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে গেলে তা আপনার জন্য কখনোই মঙ্গলজনক হবে না। তাই আগেভাগেই সতর্ক হোন।
কোনোকিছু লুকানো
প্রাইভেসি আর কোনো কিছু লুকানোর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্কে থাকার সময় প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত স্পেস থাকে। দু’জন দু’জনের সবকিছুতে নাক গলানোও ঠিক নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে বাউন্ডারি থাকা বরং ভালো। কিন্তু সঙ্গী যদি এর বদলে আপনার কাছ থেকে অনেক সত্য গোপন করে বা লুকিয়ে রাখে সেটি ক্ষতিকর। এটি এক ধরনের সূক্ষ্ম প্রতারণা।
ফ্লার্টিং
বিপরীত লিঙ্গের কারও সঙ্গে চটকদার কথোপকথন করার অভ্যাস আছে কি তার? সে যদি আপনাকে লুকিয়ে অন্য কারও সঙ্গে এমনটা করে থাকে তবে সতর্ক হোন। এর মানে হলো আপনি তার সুক্ষ্ম প্রতারণার শিকার। এ ধরনের মানুষ অনেক সময় মেসেজে এমনটা করতে পারে, কেউ কেউ আবার সামনাসামনিও করে থাকে। ভালো করে খেয়াল করুন, সেও কি এমনটা করছে? তাহলে আপনার উপস্থিতি তার জীবনে ততটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়।