মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অত্র কলেজ শহিদ বেদিতে জানানো হয়নি কোন শ্রদ্ধা বা পুষ্পস্তবক অর্পণ এমন অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার (২১শে ফেব্রুয়ারিত) পুরার ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কলেজ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে খুবই সুশৃঙ্খল ভাবে সকাল থেকে নানা আয়োজনে পালিত হয় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। কলেজ প্রশাসন, অফিসার্স কাউন্সিল, বিভিন্ন বিভাগ, কর্মচারী, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটস, গালর্স গাইড, বাঁধন এবং সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অত্র কলেজ শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা যায় কিন্তু কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন শ্রদ্ধা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে অত্র কলেজ শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলে, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠিত হয় ছাত্রলীগ। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এই সংগঠনটির ভূমিকা খুবই স্মরণীয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগের ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবি। কিন্তু খুবই দুঃখজনক বিষয় এই যে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমাদের শহিদ বেদিতে কোন রকম শ্রদ্ধা বা পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগে কর্মী বলেন, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে আসতে অনেক দেরি হয়ে যায় তাই কলেজ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার রাহাত মোড়ল বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে আসতে অনেক ক্লান্ত হয়ে যায় পরে খাওয়া দাওয়া করে কলেজ শহিদ বেদিতে ফুল দিছিতো দুপুর ১টার পর। পরক্ষনেই ছবি পাঠাতে বলা হলে তাঁরা এখনো ছবি পাঠাতে পারেনি। অপরদিকে সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম আশিকে কলে পাওয়া যায়নি।
উক্ত বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোহসিন কবীর বলেন, এটা ছাত্রলীগের বিষয় এটা আমি কি বলবো, তারা শহিদ বেদিতে ফুল দিয়েছে কি দেয় নাই সেটা আমি কিভাবে বলবো। কেন দেয় নাই এটা তাদের বিষয়।
