মা-বাবা হওয়ার সঠিক বয়স কত

বর্তমান ব্যস্ত জীবনে ইচ্ছা থাকার পরেও অনেকে দেরিতে মা-বাবা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নানা পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে। কিন্তু শরীর তো তার নিজস্ব নিয়মে চলে। তা বদলানোর সাধ্য কারও নেই। যে কারণে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে মানুষের শারীরিক সক্ষমতাও। মা-বাবা হওয়ার জন্য রয়েছে উপযুক্ত বয়স।  

বর্তমানে বেশিরভাগ নারী ৩০-৩১ বছর বয়সের দিকে প্রথমবার মা হওয়ার কথা ভাবেন। বিয়ের উপযুক্ত বয়স কত হতে পারে তা সবারই জানা আছে। নারীর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১৮ এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ২১। এরপর কবে প্রথম সন্তানের চিন্তা করবেন, তা যদিও আপনাদের সিদ্ধান্ত তবু তার উপযুক্ত সময় কোনটি সে সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন।

সাধারণত বেশিরভাগ দম্পতি বিয়ের এক-দুই বছরের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা করে থাকেন। তবে নারীটি কর্মজীবী হলে অনেকরকম চিন্তা-ভাবনা করে পদক্ষেপ নিতে হয়। কারণ সন্তানের জন্মের পর মাকেই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে শিশুটির। তাই মা হওয়ার আগে তাকে নানা হিসাব-নিকাশ করে নিতে হয়। তবু এক্ষেত্রে স্বামীর ভূমিকাও কম নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেয়েদের মা হওয়ার কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স আছে। কারণ নারীর শরীরে ডিম্বস্ফোটনের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। অপরদিকে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদনের কোনো নির্দিষ্ট সীমা থাকে না। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গুণমান কমতে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তানের মা-বাবা উপযুক্ত বয়স হলো ২০-৩০ বছর। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, পুরুষের বার্ধক্যজনিত কারণে তা শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের অসুখের ঝুঁকিতে থাকেন। এর কারণ হলো বয়স ৩০ পার হলে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন,  ১৮-৩০ বছর বয়সী নারীর ফার্টিলিটি সবচেয়ে বেশি থাকে। নারীর বয়স ৩০ পার হলে এই ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। যেখানে ২৫-৩৫ বছর বয়সের সময়টাতে পুরুষের শুক্রাণুর গুণমান বেশি থাকে। এরপরে কমতে থাকে শুক্রাণুর মান। তবে পুরুষের বয়স ৫০ পার হলেও সন্তান জন্মদানে সক্ষম থাকেন। কারণ পুরুষের শরীরে শুক্রাণু তৈরির প্রক্রিয়া সব সময় চলমান থাকে।

 

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You