ভাতিজার টাকা আত্মসাৎ করে জেল হাজতে চাচা

মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রণ ক্ষতিপূরণের ৫১ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে মোঃ হাবিবুর রহমান। বিষয়টি জানতে পেরে মাদারীপুরে চিফ জুডিশিয়াল  ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণার মামলা করেছেন ভাতিজা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এই মামলায় মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ আসামি  হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
শনিবার ১৭ ই ফেব্রুয়ারি বিকেলে জেলা পুলিশ হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। মামলার সূত্রে জানাযায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ১০৬ নং মহিষেরচর মৌজায় এসএ ১৬৫১ নং খতিয়ানে ২৬২৩ ও ২৬২৪ দাগের রেকর্ডের মালিক আব্দুল মোতালেব  পড়ে আব্দুল মোতালেব মারা গেলে এই সম্পত্তির মালিক হয় তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
এছাড়া একই দাগে দুই দলিলে ১৮.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। পৈতৃক সম্পত্তি ও ক্রয় কৃত জমি মিলে এই দুই দাগের মোট ৪৭.৫০ শতাংশ জমির মালিক মিজানুর রহমান। মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগর জন্য  জমি অধিগ্রহণ করলে সেখানে মিজানুর রহমানের ওই দুই দাগের ২৮ শতাংশ জমির অধিগ্রহণ হয়।
অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরনের টাকা কিভাবে তুলতে হবে এ বিষয়ে জানা না থাকায় চাচা হাবিবুর রহমানের সহযোগিতা ন্যায় এতিম ভাতিজা মিজানুর রহমান। আর এই সুযোগে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান অধিগ্রণকৃত নিজের জমির সাথে মিজানুর রহমানের অধিগ্রণনকৃত জমির বিল একসাথে উঠানোর কথা বলে চাচা হাবিবুর রহমান। এতে মিজান রাজি হয়ে  জমির টাকা উঠানের জন্য ক্ষমতা পত্র তার চাচার কাছে দেন। নিজের জমির সাথে ক্ষমতা পত্রের বলে ভাতিজার ৫১ লক্ষ টাকার বিল তুলেনেন চাচা হাবিবুর রহমান। ভাতিজাকে কোনো টাকা নাদিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন চাচা হাবিব। টাকার জন্য চাচার পিছনে দীর্ঘদিন ঘুরেও টাকা না পেয়ে মাদারীপুর চিপ  জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ভাতিজা মিজানুর রহমান। মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে গ্রেফতারের পরোয়ানর নির্দেশ জারি করেন।
মাদারীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এস এম সালাউদ্দিন হোসেন বলেন এন আই অ্যাট একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা পেয়ে হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শেয়ার করুন:

Recommended For You