লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শাফায়েত হোসেন (২৪) নামে এক রোগীকে মারধরের অভিযোগ উঠে। অভিযুক্ত হাসপাতালের অস্থায়ী এ কর্মচারীকে অব্যাহতি দিয়েছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের বিষয়ে গতকাল একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। নির্যাতিত শাফায়েত পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইটের পোল এলাকার কাশেমের ছেলে।
সাফায়েত ও তার স্বজনরা জানায়, গত তিন দিন আগে সাফায়েত পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বিষপান করে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের ২য় তলায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার সকালে নাস্তা করতে হাসপাতালের নিচে নামেন সাফায়েত। পরে তার বেডে যাওয়ার সময় তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মচারী রিফাত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক রোগী দেখছিলেন। এসময় দ্বিতীয় তলার গেট বন্ধ রাখেন কর্মচারী রিফাত। ওই সময় রোগী সাফায়েত ভেতরে ঢুকতে গেলে রিফাত তাকে ঢুকতে দেননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। চিকিৎসক রোগীদের ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে গেলে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়। পরে সাফায়েত তার বেডে যাওয়ার পর পুনরায় রিফাতের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিফাত কয়েকজনকে নিয়ে এসে তাকে মারধর করে। তাকে বাঁচাতে গেলে তার বোন নেহার এবং পরিবারের আরও দুইজন মারধরের শিকার হন।
সাফায়েতের বোন ববি বলেন, ঘটনাটি আমরা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে জানিয়েছিলাম আমরা এ হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার করেছেন। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, রোগীর সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি। রিফাত আমাদের হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মচারী। তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।