আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি অটুট-ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই মির্জা ফখরুল, আমির খসরু সাহেব আপনারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন করতে পারেন নাই। এই ব্যর্থতার কারণে আপনাদের তওবা করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়া উচিত। আর এদেশে যদি রাজনীতি করতে হয় তাহলে এই খুন, ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, এসব খুনের দায় স্বীকার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়ে বিএনপির মহাসচিবসহ মুক্তিপ্রাপ্ত নেতারা তাদের আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা রক্ষার জন্য বাগাড়ম্বর করছেন। রাজনৈতিক ভুলধারায় চলার কারণে নিশ্চিত একটি গহ্বরে নিমজ্জিত হতে হয়, এ সত্যকে তারা স্বীকার করবে কি না আমার জানা নাই। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে যারা এভাবে অরাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন-নিপীড়ন, সন্ত্রাস চালিয়ে রাজনৈতিক যাত্রা করেছিলেন মাঝপথেই তাদের রাজনীতির রাজনৈতিকভাবে অপমৃত্যু ঘটেছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশকে একটি বিজ্ঞানভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার মতো সৎ, নির্লোভ একজন বিজ্ঞান-সাধক মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তিনি ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও কোনো সুযোগ সুবিধা নেননি। তিনি বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে সায়াম উর রহমান সায়াম স্মৃতি কর্নার উদ্বোধন করেন।
ড. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নূরুন নবী ভোলা। আলোচনা শেষে ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।