ট্রলার থেকে মাছ আত্মসাৎ করায় মালিককে কুপিয়ে হত্যা 

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের কাছ থেকে ক্রয়কৃত মাছ আত্মসাৎ করার জন্য ট্রলারের মালিককে কুপিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয় একজেলে। একই ট্রলারে থাকা অন্য জেলেকে কুপিয়ে পানিতে ফেলে দেয় হয়। 

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে সাগর থেকে কূলে আসার পথে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানখালীর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইব্রাহিম (৩৮) নামে একজেলেকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানাপুলিশ । আটককৃত ইব্রাহিম বরগুনার তালতলী অঙ্কুজান এলাকার সুলতানের ছেলে আটককৃত ইব্রাহিম ট্রলারে থাকা ৩ জেলের মধ্যে ট্রলার মালিক রাশাদ খানকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয়। পরে এই ট্রলারে থাকা অপর জামাল হোসেন (৩০) নামে একজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। নিহত রাশাদ পটুয়াখালী জেলার রাঙাবালি উপজেলার চরমোন্তাজ এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে। আহত জামাল একই এলাকার বাসিন্দা । তিনি পটুয়াখালীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।

রাশাদ এর ভাই তুহিন খান ও স্থানীয়রা জানায়, জামাল ও ইব্রাহিমসহ ট্রলারবোঝাই মাছ নিয়ে সাগর থেকে উপকূলের দিকে আসছিলেন ট্রলারমালিক রাশাদ। আর বেশি মাছ দেখে লোভে পড়েন ইব্রাহিম। মাছ লুট করতে রাশাদকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সাগরে ফেলে দেন ঘাতক ইব্রাহিম। এ সময় রাশাদকে বাঁচাতে তার সঙ্গী জামাল এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচান জামাল। পরে ঘাতক ইব্রাহিম মাছসহ সেই ট্রলার নিয়ে আসে পাথরঘাটা ঘাটে বিক্রির জন্য । ওই মাছ সংরক্ষণ করতে বরফ কিনতে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা।

আটকৃত ইব্রাহিমের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি খুন করিনি, ওই ট্রলারের জাল পাখায় পেঁচিয়ে যায়। ওই জাল ছাড়াতে গিয়ে রাশাদের কাপড় পেঁচিয়ে পাখায় পেট কেটে যায়। এর আগে পাখায় জাল ছাড়ানো নিয়ে রাশাদ ও জামালের মধ্যে তর্ক হলে জামালকে লাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন রাশাদ। জামাল তাৎক্ষণিক পানিতে পড়ে যায়।

পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আটক ইব্রাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসাধীন জামাল ও ইব্রাহিমের কথার মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। আমরা মাছসহ ট্রলার জব্দ করেছি। জব্দ তালিকাটি সংশ্লিষ্ট থানা পটুয়াখালীর গলাচিপায় পাঠানো হবে।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You