নতুন জাতীয় রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে : ইনু

নতুন জাতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি ও রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) হাসানুল হক ইনু। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাসদের জাতীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী সভার প্রারম্ভিক ভাষণে এ মন্তব্য করেন ইনু। 

হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, সহ-সভাপতিরা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মণ্ডলী, সব সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিশেষ আমন্ত্রণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলীয় প্রার্থীরা যোগ দেন। সভার শুরুতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী জাসদের দলীয় প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী অভিজ্ঞতা ওপর বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বক্তব্য দেন।

প্রারম্ভিক ভাষণে হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের দেশী-বিদেশি রাজনৈতিক পার্টনারদের তীব্র বাধার মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য একটি বিরাট রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক চ্যালেঞ্জ। বিএনপি-জামায়াতের অন্তর্ঘাত-নাশকতা-সহিংসতা-আগুন সন্ত্রাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কিছু আসনে ক্ষেত্র বিশেষে কিছু প্রার্থীও পেশী শক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার, রির্টানিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসিসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিভিন্ন সরকারী সংস্থার কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারদের পক্ষপাতিত্বমূলক ভূমিকা পালন করে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিকে জিতিয়ে আনার ঘটনা ঘটলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশের সংবিধান সমুন্নত থেকেছে এবং দেশকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা মধ্যে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত পরাজিত হয়েছে।
ইনু বলেন, ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে আসন এবং শরিকদের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাঁড় করিয়ে তাদের জিতিয়ে আনার জন্য আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরের শক্তিশালী চক্র ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার ন্যাক্কারজনক নগ্নভূমিকাও পরিলক্ষিত হয়েছে।

তিনি  বলেন, রাজনীতি ও সমাজে সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি, সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় অন্ধত্ব, কুসংস্কার আছন্নতা, বিজ্ঞান-শিক্ষা-যুক্তির বিরোধীতা, ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতির বিরোধীতা সর্বগ্রাসী বিপদ হিসেবে অবির্ভূত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র-প্রশাসন-রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বকে দুর্নীতিবাজ লুটেরা সিন্ডিকেটকে বিযুক্ত করা, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতার ছাতার নিচ থেকে লুটেরা-দুর্নীতিবাজদের রেব করে দেওয়া, নিত্যপণ্যের বাজারের উপর থেকে সিন্ডিকেটের প্রভাব ধ্বংস করা, আইনের শাসন ও সুশাসন নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের রাশ টেনে ধরা, জাতীয় প্রধান কর্তব্য হিসেবে হাজির হয়েছে।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You