কানাডা থেকে ৩০০ জাতের ডাল এনে গবেষণা চলছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। বাংলাদেশে কানাডা সরকারের সহযোগিতায় ডালের ওপর গবেষণা কার্যক্রম এবং বিভিন্ন ডাল গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে এই কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তারা।
এদিন কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান পাবনার জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামানসহ গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তরা। পরে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের হল রুমে বাংলাদেশ কৃষি
গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে গবেষণা কার্যক্রমের ওপর বক্তব্য দেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কৃষি বিজ্ঞানী ডাল। ফসলের প্রজননবিদ ড. আশুতোষ সরকার, বাংলাদশে কৃষি গবষেণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ। সেখানে গবেষণা কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদন তুলে ধলেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শাহিনুজ্জামান।
ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক এবং মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পরিদর্শনকালে পরিদর্শন টিমের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক সরকার শফিউদ্দিন আহম্মেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শাহিনুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের ডাল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। কানাডা থেকে আমরা ৩০০টি জাতের ডাল নিয়ে এসে এখানে গবেষণা করছি। দেশের তিনটি স্থানে এটির কার্যক্রম চলছে। এইগুলো দেখতেই কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস এখানে এসেছেন। আমাদের দেশে ডালগুলো আবহওয়ার কারণে রোগ-বালাই ধরে যায়, কিন্তু এই গবেষণার মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ডাল উৎপাদন করতে পারবো। গবেষণা মাঠ পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের সঙ্গে ডাল নিয়ে চলা গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশ ব্যক্ত করেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস।