‘সোশ্যাল মিডিয়াকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার ব্যাপারে একমত’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি নীতি ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এ বিষয়ে সাংবাদিক ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু সাংবাদিকরা ইউটিউব ও ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি নীতি ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন, আমি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এই দাবির সঙ্গে একমত এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তা পূরণ করার চেষ্টা করব।

বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ সময় বলেন, সাংবাদিকদের যোগ্যতা ও গুণগত মান নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য আরেকটি প্রস্তাব সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বিস্তৃতির জন্য উদারপন্থা দেখিয়েছে। . . আমরা গণমাধ্যমকে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করতে দিই।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা (পেশাদার সাংবাদিক) গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনতে সাংবাদিকদের যোগ্যতা নির্ধারণে নীতিমালা চান। আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলে তা প্রণয়ন করবো। বিদ্যমান আইন উপেক্ষা করে সম্প্রচার বা ইন্টারনেট সেবা প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গণমাধ্যমে হঠাৎ ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সাংবাদিকদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা সর্বজনীন মানবাধিকার সনদের লঙ্ঘন। আমি দাপ্তরিক নির্দেশনা জারি করবো যাতে কোনও প্রতিষ্ঠান স্বল্প নোটিশে তার সাংবাদিকদের বরখাস্ত করতে না পারে। কাউকে ছাঁটাই করার নোটিশ কমপক্ষে তিন মাস আগে পরিবেশন করতে হবে।

একইভাবে, সাংবাদিকরা যদি পদত্যাগ করতে চান, তাদেরও একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে, যেমন দুই-তিন মাস আগে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। সাংবাদিকদের দাবি পূরণে এসময় তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেসি চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মানস ঘোষ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।

শেয়ার করুন:

Recommended For You