বরগুনার পাথরঘাটায় আলুর ভালো ফলনের আশায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে রোপণ করা আলুক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি ) বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আলুক্ষেতে সবুজের সমারোহ লক্ষ করা গেছে। চারা গজিয়ে ওঠার পর থেকেই কৃষক ও শ্রমিকরা কীটনাশক প্রয়োগ করার পাশাপাশি মেশিনের মাধ্যমে জমিতে পানি ছিটিয়ে দেওয়াসহ জমিতে থাকা আগাছা পরিষ্কার করছেন।
পাথরঘাটা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলায় এ মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০০ হেক্টর। এবছর উপজেলায় ৫৩৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এই আবাদকৃত আলু থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে কালমেঘা ও কাকচিড়া ইউনিয়নের আলু চাষ বেশি হয়েছে।
উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের রুপধন এলাকার আলু চাষী সোহেল রানা জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে এ বছর তিনি ৯৫ শতাংশ জমিতে আলুর চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং আলুর ফলন ও ভালো দাম পেলে লাভবান হবেন বলে তিনি আশাবাদী। আলু চাষী মাহবুব বলেন, গত বছর আমি ৯০ শতাংশ জমিতে আলু চাষে খরচ করেছি ১ লাখ ১০ হাজার। সকল খরচ বাদ দিয়ে আমার লাভ হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজর টাকা। এ বছর আমি ২ একর জমিতে আলু চাষ করেছি।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, পাথরঘাটায় আলু সংরক্ষণের জন্য কোল্ড স্টোর এর ব্যবস্থা হলে পাথরঘাটা কৃষকরা আলু চাষে আরো উৎসাহিত হতো এবং সঠিক সময় সঠিক মূল্যে আলু বিক্রি করতে পারতো। আলু উৎপাদনের পরে আলু মজুদের জন্য তাদের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না।
উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন বলেন, উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আলু আবাদ করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে কালমেঘার রুপধন এলাকায় । শীতের শুরুতেই চারা গজিয়ে ওঠায় এখন তা পরিচর্যা করছেন কৃষকরা।সামনে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন না হলে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। কৃষি অফিস থেকে আলু চাষীদের সকল প্রকার পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছে।