শীতের পিঠা বাঙালির জীবনে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালির শখের খাবার হলো পিঠা। এদেশে এমন মানুষ কমই আছে, যারা পিঠা পছন্দ করে না। বাংলা ও বাঙ্গালির এই পিঠার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে নড়াইলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ লোহাগড়া সরকারী আদর্শ কলেজে নানান পদের মুখরোচক পিঠা-পুলি নিয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“নতুন ধানে নতুন প্রাণে, চলো মাতি পিঠার ঘ্রানে”- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রয়ারি) কলেজ প্রাঙ্গণে ফিতা কেটে দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস। কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কামরুন নাহার লিনা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভ‚ইয়া, লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামানসহ কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে পিঠা উৎসব প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, ৩০থেকে৪০ প্রকার বাহারী পিঠা-পুলি নিয়ে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের নামে স্টল দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। কুটুমবাড়ি, নকশীকাঁথা, পিঠাবাড়ি,ময়‚রাক্ষী, পিঠাপুলি, এসো পিঠা
খাই, বসন্ত পিঠা কুঠির, পিঠা আলাপ, পিঠাঘর নামে স্টল গুলোতে পায়েস, ঝিনুক পিঠা, দুধ চিতই, দুধপুলি, নারকেল পুলি, খোলা চিতই,ভাজা পিঠা, নকশী পিঠা, সুজির বড়া, জামাই পিঠা, পাটি সাপটা, লবঙ্গ পিঠা, রস পাকান, ভাপা পিঠা শোভা পায়। বাহারী পদের এসব পিঠা খেতে কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং বহিরাগতদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় এসব পিঠ। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের।