দখিনা বাতাস, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় দরজায় কড়া নাড়ছে বসন্ত। আগামিকাল পহেলা ফাল্গুন বসন্ত বরণ উৎসব। শীতের নির্জীব প্রকৃতি ছেড়ে সহসা জেগে ওঠা প্রকৃতি রূপ, রস, বর্ণ, গন্ধ, স্পর্শ আর সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে এসেছে। ঋতুরাজ বসন্ত এসেছে, দখিনা মলয়ে বসন্ত ঋতুর আগমনী বার্তা শোনা যায়।
ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা সাজিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আগামিকাল রমনায় ২২৫ জন নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বসন্তবরণের আয়োজন। রমনার শতায়ু অঙ্গনের পাশে মঞ্চে পরিবেশিত হবে শিশু-নৃত্যদল এবং শিশু সঙ্গীত দলের পরিবেশনা। বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন জনাব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ, সচিব, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। এরপর বিকাল ৪.০০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে রমনা পার্ক থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। বিকেলের আয়োজনে ৪.৩০ মিনিটে অনুষ্টিত হবে বসন্ত নৃত্য। সন্ধ্যা ৫.০০টায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা:
উন্মুক্ত মঞ্চের এ আয়োজনে শুরুতেই পরিবেশিত হবে দলীয় নৃত্য ‘ঢাক নৃত্য’। পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিশ্রুতিশীল নৃত্যদল। এরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যদল পরিবেশন করবে দলীয় নৃত্য ‘শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা’। এরপর দলীয় সংগীত ‘আনন্দ লোকে’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু সংগীত দল। দ্বৈত আবৃত্তি ‘রুমঝুম কে বাজায়’পরিবেশন করবেন ডালিয়া আহমেদ ও জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। একক সংগীত ‘যেথা রামধনু উঠে হেসে’ পরিবেশন করবেন মেহরিন মাহমুদ।
এরপর দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করবেন নওশিন তাবাসসুম স্মরণ এবং মোমিন বিশ্বাস। ধারাবাহিক পরিবেশনায় থাকবে দলীয় নৃত্য ‘সুন্দরের অত্যন্ত প্রহরী’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু নৃত্য দল। এরপর দ্বৈত নৃত্য ‘আজি দক্ষিণ পবনে’ পরিবেশন করবে আবু নাইম এবং আনন্দিতা খান। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করবেন সারমিন সাথী ইসলাম এবং বুলবুল ইসলাম। এরপর আবার দলীয় সংগীত ‘মন শুধু মন ছুয়েছে’ পরিবেশন করবে ঢাকা সাংস্কৃতিক দল। দ্বৈত আবৃত্তি করবেন তামান্না তিথি ও মাহিদূল ইসলাম। দলীয় নৃত্য ‘বসন্ত মুখর আজি’- ‘নীল দিগন্তে’ পরিবেশন করবে রেওয়াজ পারফর্মার্স স্কুল। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মুনমুন আহমেদ। দ্বৈত নৃত্য ‘বিশ্ববীণা রবে- আজু সখি’ পরিবেশন করবেন সামিনা হোসেন এবং মাহতাব মেহেদী।
এরপর একক সংগীত ‘চেনা চেনা লাগে’ পরিবেশন করবেন মো: ইউসুফ আহমেদ খান। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করবেন কিরণ চন্দ্র রায় এবং চন্দনা মজুমদার। দ্বৈত নৃত্য ‘ফাগুন লেগেছে শাখে শাখে’পরিবেশন করবেন জুয়েইরিয়াহ মৌলি এবং মারিয়া ফারিহ উপমা। এরপর দলীয় ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী নৃত্য পরিবেশন করবে তপস্যা নৃত্যদল। পরিচালনা করেছেন নৃত্য পরিচালক- ফিফা চাকমা। এরপর দ্বৈত আবৃত্তি করবেন শিমুল মোস্তফা এবং রুপা চক্রবর্তী। দ্বৈত নৃত্য ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’ পরিবেশন করবেন অনিক বোস এবং কস্তুরী মুখার্জী। দলীয় নৃত্য ‘অবাক চোখে’ পরিবেশন করবে কথক নৃত্য সম্প্রদায়। নৃত্য পরিচালনা করেছেন নৃত্য পরিচালক সাজু আহমেদ। আবার পরিবেশিত হবে দ্বৈত নৃত্য ‘বাগিচায় বুলবুলি’ পরিবেশন করবেন আরোহী ইসলাম (আরিফুল ইসলাম অর্ণব) এবং হেনা হোসেন। সবশেষ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদলের অংশগ্রহনে পরিবেশিত হয় ফ্যাশন ডান্স প্যারেড। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগীতা চৌধুরী এবং আব্দুল্লাহ বিপ্লব।