শেরপুর প্রেসক্লাবের অনির্বাচিত কমিটি বাতিল করে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার দাবী করা হয়েছে। দীর্ঘদিন নীরব থাকার পর হঠাৎ করে আজ মোবাইল ফোনে প্রেসক্লাবে মিটিং দেখানোর চেষ্টা করলে এ দাবী করা হয়। এসময় ক্লাবের ৯/১০ জন সদস্য উপস্থিত হলেও চারজন সভা থেকে বেরিয়ে আসেন।
সভা শুরু করা হলেও বিগত নির্বাচনে আহত সাংবাদিকদের বিষয়ে কোন এজেন্ডা না থাকায়, আনুষ্ঠানিকভাবে সভা আহ্বান না করা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত শেরপুর-১ সদর আসনসহ জেলার তিনটি আসনের এমপিদের ফুলেল শুভেচ্ছা না জানানো, সহযোগী সদস্যদের নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো এবং মিটিংএ গোপনে বক্তব্য রেকর্ড করার ঘটনায় প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠেন উপস্থিত সদস্যরা। এনিয়ে সভায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
এক পর্যায়ে বর্তমান কমিটিকে অনির্বাচিত, গঠনতন্ত্র পরিপন্থী উপায়ে করা অবৈধ বলে আখ্যা দেয়া হয়। কাজেই এ কমিটিকে ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করার দাবী করা হয়। শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নূর ই আলম চঞ্চল ক্লাবের দ্রুত নির্বাচন দেয়ার দাবী করেন। এসময় তাদের বক্তব্য সমর্থন করেন সহসভাপতি এসএম শহিদুল ইসলাম, ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেদুয়ানুল হক আবীর, আবুল হাশিম। পরে সভা থেকে অনেকেই বেরিয়ে পড়েন এবং চলে যান।
এ ব্যাপারে সভায় উপস্থিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সহসভাপতি এসএম শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রেদুয়ানুল হক আবীর, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নূর ই আলম চঞ্চল জানান, ক্লাবে আজ কোন সিদ্ধান্তই হয়নি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের নিজেদের পাল্লা ভারী করার জন্য নিজেদের লোকদের সদস্য পদ দেয়ার গোপন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু এটা কোন অবস্থাতেই গঠনতন্ত্র মোতাবেক হবেনা। তাই যদি হয় ক্লাবের অনেক পুরনো সদস্যদের বাদ রাখা হয়েছে। তাহলে সবাইতো সদস্যপদ ফিরে পাবেন। ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যদি তাদের এমন মনগড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে তা হবে আত্মঘাতি।