মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী দেশটির ২২ রোহিঙ্গা নাগরিককে তিনদিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ আটকের পর বিজিবির দায়ের করার মামলার শুনানী ছিল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারী)। সেই মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আজ দুপুরে শুনানী শেষে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক শ্রীজ্ঞান তঞ্চ্যাজ্ঞার আদালত ২২ জনের বিরুদ্ধে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একজন অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে আনা হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার ওসি তদন্ত নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন- গেল ৯ ফেব্রুয়ারী রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশের পর ৩৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩৪ ব্যাটালিয়নের পালংখালী বিওপির নায়েক সুবেদার মো. শহিদুল ইসলাম উখিয়া থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। সে মামলা অধিকতর তদন্ত ও কেনো অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করছিলো তা জানার জন্য আটকদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানী শেষে ২২ জনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একজন অসুস্থ থাকায় তাকে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়নি।
অস্ত্রসহ অনুপ্রবেশের পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) করা মামলায় শনিবার বিকালে গ্রেপ্তার ২৩ জনকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেক আসামীর জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আজ শুনানীর দিন ধার্য্য রেখেছিলেন।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে উখিয়া থানায় বিজিবি বাদী হয়ে মামলাটি করে। অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের ১২টি অস্ত্রও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২৩ জনই মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক বলে জানান পুলিশ সুপার।