২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় চমক দেখিয়ে আমতলী সরকারি কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে উপজেলার চার কৃতি শিক্ষার্থী। দুজন ছেলে দুজন মেয়ে মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় এরই মধ্যে উপজেলা জুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তারা। তারা হলেন, জান্নাতুল নাঈম, সাদিয়া, জিএম আসিফ রনি, ও লামিয়া আক্তার।
আমতলী উপজলার ৭নং আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামের চরকগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোসাঃ মাকসুদা বেগম দম্পতির সন্তান জান্নাতুল নাঈম। দুই ভাই বনের ভিতর জান্নাতুল নাঈম সবার ছোট। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ চান্স পেয়েছেন। তিনি আমতলী সরকারি এ কে পাইলট স্কুল থেকে এসএসসি এবং আমতলী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান। মেডিকেলে পড়ার চান্স পাওয়ায় তিনি পিতা-মাতা, শিক্ষকমন্ডলী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ডাক্তার হয়ে গ্রামের অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের সেবা করতে চাই।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন গার্মেন্টস কর্মী জাকির হোসেন ও রোজিনা দম্পতির মেয়ে সাদিয়া। সাদিয়া আমতলী এম ইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও আমতলী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি গোল্ডেন জিপিএ-৫ থাকতে উত্তীর্ণ হন। মেডিকেলে চান্স পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সাদিয়া জানান, তিনি ডাক্তার হয়ে আর্তমানবতার সেবা করতে চান। যাতে মানুষ ডাক্তারের কাছে ভালো সেবা পায়।
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশালে চান্স পেয়েছেন উপজেলার ২নং কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব চুনাখালী গ্রামের চুনাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষানুরাগী গোলাম মোস্তফা ও এম জাহান কলি দম্পতির সন্তান জিএম আসিফ রনি। তিনি উপজেলার চুনাখালি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং আমতলী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ অর্জন করেন। ২ ভাই মধ্যে তিনি ছোট। বড় ভাই জিএম আরাফাত রাজীব অধ্যানরত বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ । মেডিকেলে কলেজে চান্স পাওয়ায় এক প্রতিক্রিয়ায় জিএম আসিফ রনি বলেন, একজন আদর্শ ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই।
উপজেলার ২নং কুকুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের কবির হোসেন কেনান মাদবার এর বড় মেয়ে লামিয়া আক্তার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির চান্স পেয়েছেন। লামিয়া উপজেলার চুনাখালী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং আমতলী সরকারি কলেজে থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান। লামিয়া আক্তার জানান, আমি ডাক্তার হয়ে আর্ত মানবতার সেবা করতে চাই। অসহায় দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে চাই।