নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংস ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক শ মানুষ। তারা এ সময় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে নারী ও শিশুর প্রতি সকল সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এসব নির্যাতনের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে সুবর্ণচরের মুজিব চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নোয়াখালী নারী অধিকার জোট। আয়োজনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সামিল হয় সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, নিজেরা করি, পার্টিসিপেটরী রিচার্স অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক-প্রান, নোয়াখালী পল্লী উন্নয়ন সংস্থাসহ (এনআরডিএস) স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এসব সংগঠন ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মানবাধিকারকর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে রাস্তায় নেমে আসেন। তারা এ সময় সেখানে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের সভাপতি লায়লা পারভীন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চর ক্লার্ক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল বাশার, নারী অধিকার জোটের সদস্যসচিব মনোয়ারা আক্তার ওরফে মিনু, মানবাধিকার কর্মী ও নোয়াখালী সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য রৌশন আক্তার, উন্নয়ন সংগঠন নিজেরা করির অঞ্চল সমন্বয় পরিতোষ দেবনাথ, সুবর্ণ ক্যাডেট একাডেমির প্রধান শিক্ষক হানিফ মাহমুদ, নারী অধিকার জোটের সদস্য মারজাহান আক্তার, মেরিনা আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একের পর এক নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় সুবর্ণচর আজ সারা দেশের কাছে আলোচিত এক নাম। কতিপয় নরপশুর ঘৃণিত আচারণের কারণে এই জনপদটি নারী ও শিশুদের কাছে অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার বিচারের রায়ের দিনই আরেকটি দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা সারা দেশের মানুষকে স্তম্বিত করেছে। এই উপজেলার নারী ও শিশুদের কতিপয় হীন লালসার কাছে জিম্মি হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হতে হবে।