কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা ব্রিজ পূর্ব পাড়ে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্ররাসা মাঠে অনুষ্ঠিত তিন দিন ব্যাপি ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টায় এই আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ হয়। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এ ইজতেমায় দেশ ও জাতির শান্তি ও সম্মৃদ্ধি কামনা করে সকাল সাড়ে ৮ টায় মুনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এ সময় আগত মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে।
মোনাজাতের পূর্ব বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, নামাজ, রোজা যেমন ইবাদাত তেমনি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করাও ইবাদাত। ভোট মানে স্বাক্ষী দেয়া সমর্থন করা। তাই বুঝে শুনে সেই সমর্থন দেয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব হতে হলে আল্লাহর কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করতে হবে।
ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটি, আগত মুসল্লী, সাংবাদিক, ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের সকল সদস্য, এলাকাবাসীসহ নিপিড়ীত বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয় । সেই সাথে বিশেষ করে ফিলিস্তিনী মুসলমানদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
চিলমারী উপজেলা থেকে আসা আবদুল কালাম নামের এক মুসল্লী বলেন, আমি গত বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে এসেছি। এখানে তিনদিন ধরে ছিলাম। হাজার হাজার মানুষ এসেছে এখানে। আজ সকালে আখিরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শেষ হলো। আমি প্রতি বছর ইজতেমায় আসি এবারেও এসেছি। বাংলাদেশের মানুষ ও পরিবারের জন্য দোয়া করলাম।
ইজতেমার কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা আব্দুল মোমিন বলেন, তিনদিন ব্যাপী বয়ানে আরও অংশ নেন, মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, পীর সাহেব খুলনা, নও মুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা রেজাউল করীম, মোসলেহ উদ্দীন আজাদী, রংপুর বিভাগীয় মুজাহিদ কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।