পাকিস্তানে ভোটের প্রায় ৪৮ ঘণ্টা হতে চলেছে। দীর্ঘ এই সময় পেরিয়ে গেলেও পূর্ণ ফল ঘোষণা করতে পারেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন। বলা হয়েছে, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট অফ থাকায় ভোটের ফল প্রকাশে এই ধীর গতি। যদিও এই বিলম্ব করাকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের জয়ী আসনে স্পষ্ট কারচুপির প্রচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান গোহর খান।
শনিবার গণমাধ্যমকে গোহর খান বলেন, ‘পিটিআই-এর জয়ী আসনগুলোকে পরাজয়ে রূপ দেওয়ার একটি দৃশ্যত প্রচেষ্টা ছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আহ্বানে ৮ ফেব্রুয়ারি মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার কাজে লাগিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ভোটের পরের দিন দুপুর ২টার মধ্যে ফল ঘোষণা করা এবং বিলম্ব হলে কারণ ব্যাখ্যা করা ইসিপির ‘সাংবিধানিক ও আইনগত দায়িত্ব’।
বিবিসি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের মোট আসন সংখ্যা ২৬৬টি (একটি স্থগিত)। এর মাঝে ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে। চূড়ান্ত ফলাফল এখনও প্রকাশ না হলেও প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কোনও দলই এই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয় লাভ করেনি।