ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ওয়ালটনকে দেশের সবচেয়ে সফল ও বৃহৎ প্রাইভেট হাই-টেক পার্ক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এটুআইর প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মঞ্জুরুল আলম এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পরিচালক ও ওয়ালটন টিভির মনিটরিং ডিরেক্টর রাইসা সিগমা হিমা, ওয়ালটন ডিজি-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলীসহ ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য দিয়ে শুরু করে ওয়ালটন এখন ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অনেক স্মার্ট ডিভাইসে বিশ্বের সবচেয়ে ইউনিক ও ইনোভেটিভ সলিউশন এনেছে, যা বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী জাতিতে পরিণত করতে খুবই সহায়ক। ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনে বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল ও রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ওয়ালটন।
সরকারি প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশে উৎপাদিত পণ্যের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত জনশুমারি প্রকল্পে ওয়ালটনের প্রায় ৪ লাখ ট্যাব ব্যবহৃত হয়েছিল। ওই প্রকল্পে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাব ব্যবহার করায় সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছিল। ওয়ালটনের ওই ট্যাবগুলোর মান খুবই ভালো হওয়ায় জনশুমারি প্রকল্প শেষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে ওয়ালটনকে ধন্যবাদপত্র দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়ে ট্যাবগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের অনুমোদন দেন। সরকারি প্রকিউরমেন্টে এরকম সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হলে কয়েক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।
পরিদর্শনকালে দেশে প্রথমবারের মতো ওয়ালটন ডিজি-টেকের এসএসডি প্রোডাক্টের বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি তিনি ওয়ালটন-ল্যাপটপ ক্যাশব্যাক অফারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং নেক্সজি সিরিজের নতুন মডেলের স্মার্টফোন ‘এন৭২’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম লুনার স্যাটেলাইট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-কে সহায়তা করছে ওয়ালটন টেলিভিশনের ক্লিনরুম রিসার্চ ল্যাব ও টেকনোলজি।