
ফেনীর পরশুরামে উম্মে সালমা লামিয়া (৭) নামের সেই শিশু হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) রাতেই অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন শিশুটির পিতা নুরুন্নবী।
এরপর বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান। এসময় থানা হেফাজতে থাকা লামিয়ার মা আয়েশা, সৎমা রেহানা ও বড় বোন নিহার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরশুরাম থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়,তাঁদের ধারণা শিশুটির পিতা ‘নুরুন্নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশার পরিকল্পনায় এই হত্যাকান্ডটি ঘটে থাকতে পারে। তাঁদের দাবি,ঘটনার চার দিন আগেও আয়েশা পরশুরামে আসেন। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।তবে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট ওই সূত্রের দাবি, ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী শিশুটি বড় বোন নিহা (১১)’র কথা অনুযায়ী সে হত্যাকারীদের দেখলে চিনতে পরবে।কারণ হত্যাকারীরা হেলমেট পরা থাকলেও বাসায় ঢুকে হেলমেট খুলে ফেলেন। তাঁদের মধ্যে একজনের গায়ের রং কালো, সামান্য মোটা। আগেও তাদের দুজনকে পরশুরাম স্টেশন রোডে দেখেছে সে। দুজনের সঙ্গেই তার মায়ের পরিচয় ছিল। পরশুরাম থানার ওসি মো. শাহাদাত হোসেন জানান,পিতা-মাতার দাম্পত্যকলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ডটি ঘটতে পারে।তদন্ত চলমান রয়েছে। নিহত মা আয়েশা ও সৎমা রেহেনা আক্তারকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলার পরশুরাম পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার কলাবাগানস্থ নিজ বাসায় স্কেচ টেপ দিয়ে হাত,পা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখমুখ বেঁধে শিশু লামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হেলমেট পরা দুই যুবক।এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) কৌশলে পালিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।