গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ২ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি। ভারত থেকে অবৈধ উপায়ে দেশে আসা উদ্ধার করা ফেনসিডিল, মদ, বিয়ার, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট, নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ইনজেকশন, হেরোইন আগুনে পুড়িয়ে ও রোলার দিয়ে পিষ্ট করে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তরে এ মাদক ধ্বংস করা হয়।
কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমারাত হোসেন জানান, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত মালিকবিহীন অবস্থায় ফেনসিডিল, মদ, বিয়ার, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট, নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ইনজেকশন, হেরোইন উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া মাদকগুলো চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ান সদর দপ্তরে সংরক্ষণ করা হয়। সেগুলোই আজ ধ্বংস করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৫ হাজার ৮১৮ বোতল ফেনসিডিল, ১ হাজার ৩৫৯ বোতল মদ, ২ বোতল বিয়ার, ৫৮ দশমিক ৬ কেজি গাঁজা, ৯ হাজার ৬৩৪ টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ হাজার ৫৮০টি নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ২ হাজার ১৯৮টি ইনজেকশন ও ১০ দশমিক ৪ কেজি হেরোইন। যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা।
তিনি আরো বলেন, বিজিবি সীমান্তে নিষ্ঠার সঙ্গে রাষ্ট্রের দেওয়া দায়িত্ব পালন করছে। মাদক প্রবেশে সর্বদা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। বিজিবি সতর্ক অবস্থায় থাকায় দেশে মাদক প্রবেশ অনেক কম, গত বছরের চেয়ে। আমাদের সীমান্ত সড়ক না থাকায় অনেক ফাঁকা জায়গা দিয়ে চোরাকারবারিরা মাদক নিয়ে আসে।
মাদক ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমারাত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান ও মেহেরপুর জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিরীন আক্তার।