
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ মেডিসিন দিয়ে ল্যাবসহকারী ছাড়া রোগ নির্ণয় করায় বড়ঘোপ ন্যাশনাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জর্জ মিত্র চাকমা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জর্জ মিত্র চাকমার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কুতুবদিয়া থানার পুলিশের একটি দল অভিযানে সহযোগিতা করে।
জানা যায়, অভিযানে বড়ঘোপ মেডিকেল গেইট এলাকার আশ-শেফা মেডিকেল হলকে ৫ হাজার টাকা, ধুরুং বাজারের হোছাইন মেডিকেল স্টোরকে ২০ হাজার টাকা এবং মেসার্স নকিব মেডিকেল হলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফার্মেসিগুলোতে অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি, সংরক্ষণ এবং বিক্রয়ের দায়ে অর্থ দন্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি, সংরক্ষণ এবং বিক্রয়ের অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারা মতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রিসহ বিভিন্ন অপরাধে একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারসহ তিন ফার্মেসিকে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনসমক্ষে জব্দ করা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুতুবদিয়ায় ফার্মেসি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে শর্ত জুড়ে দিলেও ন্যুনতম শর্ত পূরণে কারও আগ্রহ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষদের।