সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা গুলির ভয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছেন। অন্যান্যদের মতো হাসিনা বেগম (৪৩) তাঁর ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে তুমব্রু সীমান্ত এলাকা থেকে এসেছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। একমাত্র পুরুষ তার স্বামী ঘর পাহারা দিতে থেকে গেছেন বাড়িতে।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪) রাতে প্রাণের ভয়ে ১নং উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন তিনি। হাসিনা বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে সীমান্ত হওয়ায় সেখানে বেশি গোলাগুলি হচ্ছে। মনে হয় যেন আমাদের ঘরেই গোলাগুলি হচ্ছে। আমরা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত এলাকা থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছি। এখানে খাবার দেওয়া হয়েছে রাতে তবে সকালে খাবার দিতে দেরি হচ্ছে।
হাসিনার মতো ২৮ পরিবার এসেছে আশ্রয় কেন্দ্রে। ২৮ পরিবারের ১৩৭ জন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। পুরুষেরা ঘর পাহারা দিতে থেকে গেছেন বাড়িতে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ রনজিত বড়ুয়া বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ চলার কারণে এপারে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তাই মানুষজন আশ্রয় নিচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রে। ১ নং উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ পরিবারের ১৩৭ জন আশ্রয় নিয়েছে। এখানে সবাইকে রান্না করে খাবার দেওয়া হচ্ছে। কোন অসুবিধা না হয় মতো চেয়ারম্যান স্যার ব্যবস্থা নিয়েছে। আরেকটি আশ্রয় কেন্দ্র কচুবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও আশ্রয় নিয়েছে কয়েকটি পরিবার।