বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ইউনিয়নে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জলপাইতলী, বাজার পাড়ার এলাকার মানুষ এখন আতঙ্কে ঘরছাড়া। ফাঁকা পড়ে আছে তুমব্রু বাজার, বেতবুনিয়া বাজার এলাকার ৬টি স্কুল ও ১টি মাদ্রাসা। এছাড়া এই এলাকার ২৭টি পরিবার নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল পর্যন্ত ঘুমধুমের বাইশফাড়ি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামে কয়েকজন পুরুষ ছাড়া কেউ নেই। নারী-শিশুরা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্রে অবস্থান নিয়েছে। সবার মধ্যে গোলাবারুদের ভয় কাজ করছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৭টি পরিবারের ১১৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপন বড়ুয়া। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন আরও ২৪০ পরিবার।
এ পর্যন্ত ২৬৪ জন মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য বাংলাদেশ বিজিবির ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন গুরুতর আহত। এদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।এদিকে সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক মুজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন। জেলা প্রশাসক সীমান্তবর্তী গ্রামের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছন।
এছাড়া উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও কাজ করছে। তাই এলাকার লোকজন আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।