ভৈরবে কৃষকের ১৫ শতাংশ জমির ধান গাছ কাটার অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাকবিতন্ডায় জের ধরে রাতের আঁধারে জজ মিয়া নামের এক কৃষকের ১৫ শতাংশ জমির ধানের গাছ কাটা ও উঁপড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।   

মঙ্গলবার (৬ফেব্রুয়ারি)দুপুরে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী কর্তা বাড়ির পুকুর সংলগ্ন কৃষক মো. জজ মিয়ার ধানের জমিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক মাস পূর্বে তিন একর জমিতে বোরো মৌসুমের ধান আবাদ করেছেন তিনি। সেই রোপণকৃত ১৫ শতাংশ জমির ধান গাছ কেটে ও উঁপড়ে জমিতে রেখে যায় এক দল দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগী কৃষক উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও কৃষক মো. জজ মিয়ার সাথে পাশ্ববর্তী মৌটুপী গ্রামের বাসিন্দা নাদিম মিয়ার সাথে বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে দুজনকে থামিয়ে শান্ত করে তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার পর দিন মঙ্গলবার সকালে কৃষক জজ মিয়া তার রোপণকৃত ধানের জমি দেখতে গিয়ে দেখেন রাতের আঁধারে এক দল দুর্বৃত্তরা তার রোপণকৃত বোরো ধানের ১৫ শতাংশ জমির ধান গাছ কেটে নষ্ট করে। এছাড়া জমিতে প্রবেশ করে সকল ধান গাছ নষ্ট করে উপড়ে ফেলে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক মো. জজ মিয়া বলেন, গত সোমবারে দুপুরে মৌটুপী গ্রামের কুখ্যাত নাদিম ডাকাতসহ কয়েকজন মিলে আমার রোপণকৃত ধানের জমির ধান গাছ নষ্ট করে জমির ভিতরে রাস্তার মাটি ফেলেছেন । জমিতে কেন মাটি ফেলেছে তা জানতে চাওয়ায় ডাকাত নাদিম আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে শার্টের কালারে ধরে ঘুষি মারে। সেসময় পাশের লোকজন এসে আমাদের থামিয়ে দেয়। তারপর আমি বাড়িতে চলে আসি। আজ সকালে জমি গিয়ে দেখি ১৫ শতাংশ রোপণকৃত জমির ধান গাছ কাচি দিয়ে কেটে ও উপড়ে ফেলে রেখেছে। এছাড়া পুরো জমির ধানের গাছ নষ্ট করেছে। ডাকাত নাদিমই রাতের আঁধারে আমার ধানের জমি নষ্ট করেছে। এই ধরনের ঘটনার প্রশাসনে কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষক জজ মিয়া সকালে আমাকে জানান যে তার রোপণকৃত বোরো জমির ধান গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলে রেখেছে কে বা কারা। তারপর সরেজমিনে গিয়ে দেখি সত্যিই তার জমির রোপনকৃত ধান গাছ কাঁচি দিয় কেটে ও উঁপড়ে ফেলে নষ্ট করে রেখেছে। মানুষের সাথে শুত্রুতা থাকতে পারে তাই বলে ফসলি জমি নষ্ট করবে এই ঘটনাটি আসলে নিন্দাজনক। এই ধরণের ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি। রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা ফয়সাল মিয়া বলেন, একজন কৃষক সারা বছরে একবার তা জমিতে বড় স্বপ্ন নিয়ে ভালো ফসল উৎপাদনের আশায় ধান রোপণ করেন। সেই রোপণকৃত জমি নষ্ট করে দেয় তাহলে এটি অত্যন্ত মারাত্নক অমানুবিক কাজ।

মৌটুপী গ্রামের বাসিন্দা হাজী আলী আহমেদ বলেন, রাঁতের আঁধারে একজনের জমিতে রোপন করা ধান গাছ এইভাবে নষ্ট করে দিবে সেটি তো ভালো কাজ নয়। এই ধরণের ঘটনার প্রতিবাদ জানান তিনি। এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ধানের জমি নষ্টের ঘটনাটি শুনেছি এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন:

Recommended For You