প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে চান ড. মুসলিমা জাহান। ইতালির তুরিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ইন ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তার জন্ম পাবনার ঈশ্বরদী শহরের মশুরিয়াপাড়া এলাকায়।
ড.মুসলিমা জাহান ছাত্রলীগ রাজনীতি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নীতি ও আদর্শ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনকে অনুসরণ করে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ভাটারা থানা ঢাকা(উত্তর)’র যুগ্ন-সম্পাদক।
মুসলিমা জাহান ছাত্রজীবনে ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষে ঈশ্বরদী সরকারি ছাত্র সংসদে নির্বাচিত মহিলা সম্পাদক এবং ১৯৯৮-৯৯ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব ফয়জুন্নেসা হলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় নেত্রী হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয়। গত ২০১৯ সালে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন ড.মুসলিমা জাহান। কিন্তু সে বার দলীয় মনোনয়ন না পেলেও এ বছর আশাবাদী তিনি। ছাত্রলীগের রাজনীতি করার সময় থেকে মানুষের সেবা ও কল্যাণে কাজ করার ইচ্ছে থেকেই মূলত জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগ্রহ বলে জানান ড.মুসলিমা জাহান। এ জন্য আরও আগে থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
ড.মুসলিমা জাহান জানান, আমি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পাবনা-৪(ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। কিন্তু মনোনয়ন না পেলেও দলীয় সকল কর্মকান্ড চালিয়ে গেছি। নারীদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থেকেই আবারও সংরক্ষিত আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তুলবেন। আগামীকাল মঙ্গলবার(৬ ফেব্রয়ারি) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম তুলবেন বলেও জানান ড.মুসলিমা জাহান।
তিনি বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি নয়, প্রত্যেকটা মা-বোনদের কাছের এবং পাশের মানুষ হয়ে উঠতে চাই। আমি নারীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। এটাই আমার মূল লক্ষ্য।’ ড. মুসলিমা জাহান আরো বলেন, আমার জীবনের প্রায় ৩৫ বছর পড়াশোনা ও শিক্ষকতায় কাটিয়েছি। আমার শিক্ষা এবং ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে থাকার অভিজ্ঞতা আমি দেশের মানুষের জীবন-যাত্রাকে উন্নত করার কাজে ব্যবহার করতে চাই।
মূলত নীতি-নির্ধারণী কাজে কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমার মেধা ও যোগ্যতা যেন আওয়ামী লীগের কাজে লাগে সে সুযোগ চাই।
ড.মুসলিমা জাহান করোনা সচেতনতায় বিশেষ অবদান হিসেবে তিনি অর্জন করেছেন ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার এ্যাওয়ার্ড-২০২০, রিজিওনাল চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কার। পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় পেয়েছেন ‘কবি জসিমউদ্দিন’ সম্মাননা।