টেবিলে প্লেটে থরে থরে সাজানো বাহারি রঙের নানা পিঠা। পাকন, ভাঁপা, পুলি, চিতই, পাটিশাপটা, নকশি পিঠা, ফুল পিঠা, মাল পোয়া, রস পাকনসহ নাম না জানা হরেক রকম পিঠা। এ যেন রসের মেলা। নানা স্বাদের বাহারী এসব পিঠা দেখলেই মুখে জল চলে আসবে যে কারো।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমনই আয়োজন ছিল কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে পিঠা উৎসবে।
প্রতিবারের মতো এবারও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। যেখানে নানান স্বাদের প্রায় ৫০ রকমের পিঠা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা রকম পিঠা। যান্ত্রিক জীবনে নতুন প্রজন্ম জানে না এসব পিঠার নাম। গ্রাম-বাংলার বিলুপ্তপ্রায় লোকজ খাবার ধরে রাখা ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব। ফিতা কেটে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান মাসুমা আক্তার, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর শামসাদ জাহান, নারীনেত্রী মায়া ভৌমি, সদর উপজেলা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহানারা আক্তার শাওন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মর্জিনা পুষ্প জানান, পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য পিঠাকে ধরে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন তারা। বিলুপ্তপ্রায় ও নাম না জানা পিঠাগুলো নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করে দিতে ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এমন আয়োজন। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান মাসুমা আক্তার বলেন, ‘এমন সুন্দর আয়োজন সত্যি ভালোলাগার মতো। গ্রামীণ এই ঐতিহ্যকে আমাদের সবাইকে ধরে রাখতে হবে। শীতের সময়ে গ্রামের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী খাবার এই পিঠা। বিদেশি খাবারের দিকে ঝুঁকছে নতুন প্রজন্ম। তাই গ্রামবাংলার সুস্বাদু খাবার পিঠাকে ধরে রাখতে এমন আয়োজন আরও বেশি বেশি হওয়া দরকার। পরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা।