কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে তরুণ শিক্ষিত কৃষকদের। কলা চাষ লাভজনক হওয়াতে এবং মূল্য ভালো পাওয়ায় কলা চাষে লোকসান গুনতে হয় না কৃষকদের।
লক্ষ্মীপুরের রসূলগঞ্জ নতুন বেড়িবাঁধে স্বপ্নবাজ দুই বন্ধু আজিম ও বেল্লাল সাইফুল মিলে ৪ কানি জমিতে ৪০ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রায় দশ হাজার কলা গাছের চারা রোপণ করেন।
স্থানীয় পাইকারি বাজার মোল্লারহাটের কৃষকরা জানান, গত কয়েক বছর বাজারে কলার দাম ভালো। এতে তাদের লাভও ভালো হয়েছে। যে কারণে অনেক কৃষকই চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করেছেন। রসূলগঞ্জে কলা বাগান যারা করেছেন তাদের কলা উৎপাদন সঠিক ভাবে হলে অন্য জেলা থেকে কলা এনে বিক্রি করার প্রবণতা কমবে এবং দামও সাশ্রয়ী হবে।
কৃষি উদ্যোক্তা আজিম জানান ৪০ লাখ টাকা ব্যায়ে আমরা ২ বন্ধু মিলে ৪কানি জমিতে ৪ জন সহকারীর পরিচর্চার মাধ্যমে কলাচাষ চলছে। গত ৪ বছর যাবৎ রায়পুরের কালুবেপারীর হাট এলাকায় মাল্টা বাগান করেছি। সেখানে প্রায় আমাদের ১০ হাজার গাছে মাল্টা উৎপাদন হয়। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা রসূলগঞ্জে নতুন জমিতে নতুন জাতের কলা চাষ করেছি।
তিনি জানান, যশোর ঝিকরগাছা থেকে কলা চারা সংগ্রহ করে ৪কানি জমিতে তা রোপণ করেছেন। কলা উৎপাদন ঠিক ভাবে হলে তা কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও ধারণা তার। গত মৌসুমে মাল্টা উৎপাদন করে তাঁর বেশ লাভ হয়েছিল। তিনি আশা করছেন এ বছর কলা গাছের চারা বেশ ভালো হয়তো ফলন অনেক ভালো হবে। খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা লাভ পাবেন বলে আশা করছেন।
কৃষি বিষয়ক তথ্য লক্ষ্মীপুর জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, লক্ষ্মীপুরে বেশ কয়েকজন চাষি কলার চাষ করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০ ভাগ বেশি জমিতে কলার আবাদ হয়েছে। এ এলাকার কৃষকেরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কমবেশি ছোট ছোট প্লটে কলার চাষ করেন। তবে ৪কানি জমিতে কলার চাষ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. জাকির হোসেন বলেন, লক্ষ্মীপুরের কুশাখালির পরেই রসূলগঞ্জের আজিমদের কলা বাগানের অবস্থান রয়েছে। আবহাওয়া ও উৎপাদন ঠিকমতো হলে কলার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে জেলায়। চাহিদা পূরণ করে লক্ষ্মীপুরের কলা অন্য জেলায়ও বিপণন করা যাবে। নির্ভেজাল কলা খাওয়ার জন্য ও বিপণনের জন্য কলা বাগান চাষিদের ও উদ্যোক্তাদের ঋণ নিয়ে দেওয়া, রোগ বালাই থেকে মুক্ত থাকার সহযোগিতা কৃষি বিভাগ সবসময় করে আসছে। এটি অব্যাহত থাকবে।