দুই দশক পেরিয়ে গেলেও হচ্ছে না যুবলীগের কমিটি

কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের অন্তর্গত ১৩ টি উপজেলা ও পৌর কমিটি গুলির মেয়াদ প্রায় দুই দশক আগে শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত উপজেলা বা পৌর কমিটি গুলি গঠন হচ্ছে না। কোন কোন উপজেলা বা পৌর কমিটি দুই দশক পেরিয়ে তিন দশকের কাছাকাছি সময় পার হয়েছে,তবুও মিলছে না নেতাকর্মীদের দলীয় পরিচয়। যার ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম।

হতাশ হয়ে যুবলীগের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেক নেতাকর্মী। কারন নতুন কমিটি হচ্ছে না হরহামেশায়। নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েও কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ায় আশাহত হয়েছে নেতাকর্মীরা। যার ফলে সাংগঠনিক অবস্থা দিন দিন নাজুক হচ্ছে তৃণমূলে। জানা যায়,গত ২০২২ সালের ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা যুবলীগের অন্তর্গত গুরুত্বপূর্ণ চারটি ইউনিটের উপজেলা ও পৌর যুবলীগের আহবায়ক-যুগ্ন আহবায়ক পদ প্রত্যাশীদের সিভি আহবান করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।

ইউনিট গুলি হচ্ছে কিশোরগঞ্জ পৌর যুবলীগ, নিকলী উপজেলা যুবলীগ, হোসেনপুর উপজেলা যুবলীগ ও কুলিয়ারচর উপজেলা যুবলীগ। এ চারটি ইউনিটের পদপ্রত্যাশীরা গত ২০২২ সালের ৭-৯ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয়ে জেলা যুবলীগের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মাধ্যমে কেন্দ্রে সিভি জমা দেয়। এ ইউনিট গুলির মধ্যে কিশোরগঞ্জ পৌর যুবলীগের প্রায় ২৮ বছর যাবত কমিটি নেই। নিকলী উপজেলায় সর্বশেষ কমিটি হয়েছিলো প্রায় ৩০ বছর আগে। এরপর আর কোন কমিটি গঠিত হয় নি। তাই গুরুত্বপূর্ণ চারটি ইউনিট কমিটি গুলি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় সিভি আহবান করে জেলা যুবলীগের মাধ্যমে কেন্দ্রে সিভি নেয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার হয়েছিলো। কিন্তু ১ বছর ১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ ইউনিট কমিটি গুলি ঘোষণা করা হয় নি। যার ফলে হতাশা ব্যাক্ত করেছেন নেতাকর্মীরা।

অনেকে যুবলীগের আশা ছেড়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন রাজনীতি থেকে।তাই দলীয় নেতাকর্মীদের দাবী অচিরেই যেন জেলা যুবলীগের অন্তর্গত যে চারটি ইউনিটের পদপ্রত্যাশীদের সিভি জমা নেয়া হয়েছে সে কমিটি গুলি সহ বাকি ইউনিটের কমিটি গুলিও যেন দ্রুত দেয়া হয়। তা না হলে স্থবির হয়ে পড়া যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কার্যক্রম গতিশীল হবে না বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এর প্রভাব পড়বে সাড়া জেলায়।

জানা যায়,  কিশোরগঞ্জ পৌর যুবলীগের কমিটির জন্য আহবায়ক পদে ১৭ জন ও যুগ্ন আহবায়ক পদে ২৫ জন সিভি জমা দেয়। এছাড়াও নিকলী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক পদে ৬ জন এবং যুগ্ন আহবায়ক পদে ৪২ জন সিভি জমা দিয়েছে। অন্যান্য উপজেলা ও ইউনিট কমিটির গুলির জন্যেও একই ক্রাইটেরিয়ায় সিভি জমা দেয় পদপ্রত্যাশীরা। কিন্তু সিভি নেয়ার ১ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন ইউনিট কমিটি ঘোষণা করা হয় নি। ফলে দায়সারা ভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে নেতাকর্মীরা। তাই জেলা যুবলীগকে চাঙ্গা করতে সিভি জমাকৃত চারটি ইউনিট কমিটিসহ বাকি ইউনিট কমিটি গুলি দ্রুত ঘোষণা দেয়ার দাবী জানিয়েছে যুবলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল বলেন, ইউনিট কমিটির গুলি দেয়ার জন্য আমরা কেন্দ্রে যাবো। আশা করি অতি দ্রুতই কমিটি গুলি হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু বলেন,কয়েকদিন হলো জাতীয় নির্বাচন গিয়েছে। এখন নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আশা করি অতি দ্রুতই মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি গুলি নতুন করে দেয়া হবে।কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল বলেন, নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয় নি। আরো কিছু সময় লাগবে মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি গুলি গঠন করতে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You