সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে 

ফেনীর সোনাগাজীতে অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে দুই পাশের সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় বাঁশ-কাঠের সাঁকো বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে। এতে চরম ঝুঁকি ও জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর উপরের পলেস্তারা খসে রড বের হয়ে আছে। এই সেতু হয়ে প্রতিদিন স্থানীয়রা নবীউল্যার বাজার, ইটালি মার্কেট, জমাদার বাজার, চানমিয়ার দোকান ও লেংগার দোকান এলাকায় যাতায়াত করছেন। সেতুর আশপাশে রয়েছে একাধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। সেতুর রেলিং না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতের বেলা চলাচলের সময় অনেকে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। আগে সেতুর উপর দিয়ে সিএনজি, পিকআপ চলাচল করতো। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এই সেতু ব্যবহার না করে কয়েক মাইল পথ ঘুরে বিকল্প সড়কে সেগুলো চলাচল করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের শকুনিয়া খালের ওপর ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে সেতু নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই রেলিং ভেঙে খালে পড়ে যায়। খসে পড়তে থাকে সেতুর পিলারের পলেস্তারা।এরপরও ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার কিংবা নতুনভাবে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সরকারি দপ্তরগুলোতে এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।
এলাকার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতে বারবার সাকোঁটি ভেঙে যায়। এরপরও স্থানীয়রা জোড়াতালি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি ব্যবহার করে আসছেন।
চর চান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিলন বলেন, সেতুটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে আবেদন করেছি, তবে কোনো কাজ হচ্ছে না। ফলে মানুষের ভোগান্তি লেগেই আছে।
সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, এ বিষয়টি কেউ এর আগে তাঁর নজরে আনেনি। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে ওই স্থানে নতুন সেতু করা হবে।
সংসদ সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কথা আমি শুনছি। তবে শিঘ্রই মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন:

Recommended For You