
ফেনীতে স্টার লাইন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টার লাইন স্প্রাউট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দুই দিনব্যাপি পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার স্কুল প্রাঙ্গনে উৎসবের উদ্বোধন করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন সভাপতিত্বে ও স্কুলের সহকারী শিক্ষক কামরুন নাহার ও আরাফাত জাহান সঞ্চালনায় পিঠা উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আফতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অংপ্রু মারমা, ফেনী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আইনুল কবির শামিম, শিক্ষাবিদ ফারাহ দিবা, শিক্ষাবিদ উখিং মারমা, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ফেনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আবুল বাসার, ফেনী ন্যাশনাল কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম, ফেনী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, ফরিদ উদ্দিন, স্টার লাইন গ্রপের পরিচালক সায়দুল হক মিন্টু, মাহমুদুল হক চৌধুরী মুনির, জামাল উদ্দিন, মাঈন উদ্দিন, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ফেনীর সময় সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুক দেব নাথ তপন, সাধারন সম্পাদক এম এ জাফরসহ অনুষ্ঠানে ফেনীর বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিসহ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন জানান, আমাদের শিক্ষার্থীদের বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করে দিতে প্রতিবছরই আমরা স্কুলে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে থাকি। প্রতিবছরই উৎসবে বিশেষ মাত্রা যোগকরে স্কুল’র শিক্ষার্থী ও শিল্পীদের পরিবেশনায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মাঝে একটি মেলবন্ধনের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, বিগত ৯ বছর যাবৎ ফেনীতে স্টার লাইন স্প্রাউট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পীঠা উৎসব ঐতিহ্য বহন করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও উৎসবের ৩০টির অধিক স্টল নানা ঐতিহ্যের আদলে স্থাপন করা হয়েছে। এসব স্টলে রয়েছে প্রায় ১৪০ ধরনের পিঠা। এর মধ্যে ঝিনুক পিঠা, গোলাপ পিঠা, তালের পিঠা, নারকেলের ঝুনি পিঠা, নারকেলের ভাপা পুলি, নকশি পিঠা, হৃদয় হরণ পিঠা, মালপোয়া, ডালের বরফি, ইলিশ পেটি সন্দেশ, ডিম সুন্দরী, ভাপা পিঠা, তালকলি পিঠা, নকশিপাতা পিঠা, ক্ষীর সুন্দরী, ন্যাড়া পিঠা, পাটিসাপটা, বিন্নি ধানের পাটিসাপটা, নারকেল পাকন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।