আগামীকাল বিচারপতি নাজমুল আহাসান মিজানের মৃত্যুবার্ষিকী

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ প্রাপ্ত বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান মিজানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ৪ ফেব্রুয়ারি । করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

বিচারপতি হিসাবে তিনি অনেকগুলো ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করেন। এরমধ্যে সকল সরকারি-স্বায়ত্বশাসিত-আধা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের সকল অনুষ্ঠানের বক্তৃতা শেষে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি “জয়বাংলা” শ্লোগান উচ্চারণ করে বক্তৃতা শেষ করা, “বিচার আদালতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি টাঙানো”, মুক্তিযোদ্ধাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্বোধন, বিনা দোষে কারাগারে আটকে থাকা জাহালমকে মুক্তির রায় গুলো উল্লেখযোগ্য।

১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ বরিশাল জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন নাজমুল আহাসান মিজান। তিনি ১৯৯৪ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের ও ২০০৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। মাঝে কিছুদিন তিনি ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ছিলেন। ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান নাজমুল আহাসান মিজান। পরে ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল তিনি বিচারপতি পদে স্থায়ী হন। সবশেষে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি এফ আর এম নাজমুল আহাসান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল পদে ও বিচার বিভাগে নিয়োগ পাওয়ার আগে আইনপেশার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় এফ আর এম নাজমুল আহাসান মিজান বাম ধারার রাজনৈতিক সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ্বেও তিনি বরগুনা ও স্বরূপকাঠির পেয়ারাবাগান এলাকায় অংশ নেন ততকালীন বাম ধারার ছাত্র নেতাদের সাথে। আজীবন প্রগতিশীল, ন্যায় ও সততার ধারক বাহক এই মানুষটি বরিশালের আইনজীবী, রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক অংগনে ছিলেন অতি আপনজন হয়ে।

দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান মিজান স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মরহুমদের করব জিয়ারত,শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Recommended For You