ভৈরবে শুরু হয়েছে ৩দিন ব্যাপী পিঠা উৎসব 

আবহমানকাল থেকে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে হরেক রকমের পিঠা বাঙালি পরিবারের রসনা বিলাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে থাকলেও বর্তমান যান্ত্রিক নগর জীবনে সেই ঐতিহ্য আজ অনেকটায় ম্রিয়মান হয়ে উঠছে। আর বর্তমান এই যান্ত্রিক নগর জীবনে পিঠার সঙ্গে পরিচয় এবং এর স্বাদ ছড়িয়ে দিতে ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ৬ষ্ঠ বারের মত ৩দিন ব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) থেকে আগামী রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ এর আয়োজনে ভৈরব বাজার রাজকাচারি মাঠে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই পিঠা উৎসব।

এ উৎসবে ১৫টি স্টলে শুকনা পিঠা, শামুক পিঠা, পাটি সাপটা, দুধ চিতল, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, ক্ষীর পাটি সাপটা ও নারিকেল বেলি পিঠাসহ বিভিন্ন স্বাদের হরেক রকম পিঠা দেখা গেছে।

পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি ইমরান হোসাইন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. জিল্লুর রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেন কাজল, ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা অডভোকেট ইমরান হোসেন, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন প্রমুখ।

পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন জানান, শীত মৌসুমে বাংলার ঘরে ঘরে হরেক স্বাদের পিঠা-পুলির আয়োজন হয়। এটি বাঙালী লোকজ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ স্মারক। কিন্তু বর্তমান যুগে বাঙালীর এই লোকজ সংস্কৃতি যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। বাঙালী সংস্কৃতিতে হরেক রকমের পিঠা রয়েছে যার নাম হয়ত অনেকের জানা-ই নেই। দেশীয় এ ঐতিহ্যকে লালন করার উদ্দেশ্যে ভৈরবে আমরা ৬ষ্ট বারের মত পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। এ উৎসবে সবাইকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালনসহ এর সমৃদ্ধিতে সকলের অংশগ্রহণ কামনা করেন তিনি।

উৎসবে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত পৌষ মাসে পিঠা উৎসব হয়ে থাকে। তবে শীত মানেই বাড়িতে বাড়িতে পিঠা উৎসব। যদিও এখন আর গ্রাম ছাড়া শহরে পিঠা দেখা যায় না। খাওয়াতো অনেক দূরে, অনেক পিঠার নামও এখন মনে পড়ে না।

এখন শহরের মানুষের একমাত্র ভরসা রাস্তার পাশে বানানো চিতই আর ভাপা পিঠা। এ আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা মানুষজনও নানা ধরণের পিঠার স্বাদ নিচ্ছেন। সন্ধ্যায় পিঠার স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি উৎসবে আসা মানুষজন মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে।

 

শেয়ার করুন:

Recommended For You