দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশির ভাগ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে চলে গেছে। সবচেয়ে বেশি ছিল বরিশালে। সেখানকার তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি।
উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা সেই তুলনায় অনেক কম। আজ শনিবার সকালে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দিনাজপুরে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮, নীলফামারীর ডিমলায় ১০ দশমিক ৮, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানুয়ারিতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি থাকলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল। এছাড়া গড় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, রাতের তাপমাত্রা ২ সেলসিয়াস কমে গেলে বিক্ষিপ্তভাবে আরও কয়েকটি জেলা শৈত্যপ্রবাহের আওতায় চলে আসতে পারে। সেই সঙ্গে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সাময়িকভাবে বিঘ্ন হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি মাসের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বা দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে ও মাসের শেষের দিকে ১-২ দিন বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, জানুয়ারিতে সার্বিকভাবে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে লঘুচাপ ও পূবালি বাতাসের কারণে খুলনা বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।