গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর থেকে শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লাখ লাখ মুসল্লি।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনভর আকাশ মেঘলা থাকলেও সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সেভাবে বৃষ্টি হয়নি। কয়েক দফায় সামান্য গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছিল। তবে মাগরিবের নামাজের পর থেকে বৃষ্টি নামা শুরু হয়েছে। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন মুসল্লিরা। ইজতেমায় আসা মুসল্লি আকরাম হোসেন বলেন, আমরা বিকেল থেকে রান্নার আয়োজন করছিলাম। মাগরিবের নামাজের পর রান্না চুলায় বসানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টিতে আটকে গেলাম। এখন বৃষ্টি থামা ছাড়া রান্না করা যাবে না। টঙ্গীর দত্তপাড়া থেকে ইজতেমায় আসা আক্কাস শেখ বলেন, বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বাসার দিকে চলে যাচ্ছি। ইজতেমা ময়দান থেকে বাসা কাছে হওয়ায় মালামাল রেখেই চলে যাচ্ছি। বৃষ্টি কমলে আবার চলে আসব।
কুমিল্লা সদর থেকে আসা মো. হান্নান মিয়া বলেন, আমাদের এলাকা থেকে মোট ১৬০ জন একসঙ্গে ইজতেমা ময়দানে আসছি। সকল সফর সঙ্গীর মাল-সামানা নিয়ে দুইদিন আগেই ৩৮নং খিত্তায় আছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বয়ান শুনছি। বিকেল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়। বৃষ্টি আসলেও বয়ান শোনা বন্ধ করছি না। বৃষ্টিও আল্লাহর রহমত। আয়োজকরা বলছেন, প্রথম দিন দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমা ময়দানে। কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের এ জুমায় ইমামতি করবেন। বৃহত্তম জুমার নামাজে অংশ নিতে প্রতি ইজতেমায় তাবলিগের মুসল্লি ছাড়াও গাজীপুর ও আশপাশের জেলা থেকে আগের রাতেই ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিচ্ছেন অনেক মুসল্লি।
আরেক মুসল্লি আবুল কালাম জানান, সারাদিনে কয়েক দফায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও সন্ধ্যায় বৃষ্টি বেড়ে গেছে। দিনের বৃষ্টিতে মুসল্লিদের ভোগান্তি না হলেও সন্ধ্যার বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে। তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চারদিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। ১ম পর্বে অংশ নিতে এখন মাঠে আসছেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।