
চিলমারীতে থানায় প্রত্যয়ন নিতে এসে যুবককে আটক করার পর চার ঘন্টা পর ছেড়ে দিলেন পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে চিলমারী মডেল থানায়।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বৈলমনদিয়ারখাতা গ্রামের আঃ ছাত্তার আলীর ছেলে মাঈদুল ইসলাম পাশ্ববর্তী এলাকার কড়াইবাড়িশাল এলাকার আঃ হাকিমের মেয়ে হাসিনা বেগম (হাসির) সাথে বিয়ে হয় প্রায় ১৬ বছর আগে । বিয়ের পর যৌতুক ও নির্যাতনের স্বীকার হয় মোছা.হাসিনা বেগম( হাসি) এবিষয়ে হাসি বাদী হয়ে ২০১৬ সালে কুড়িগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় ২০১১ সালে মাঈদুল ইসলামের ২ বছর সাজা হয়।
এদিকে একই এলাকার আঃ সাত্তার এর ছেলে মোঃ মাঈদুল ইসলাম (৩৫) বৃহস্পতিবার দুপুরে চিলমারী মডেল থানায় পুলিশী পাসপোর্টের প্রত্যয়ন নিতে গেলে ওয়ারেন্ট ভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসাবে দায়িত্বরত কর্মকর্তা এ এস, আই রতন কুমার তাকে আটক করে। পরে যাচাই বাচাই করে ইউপি সদস্যর মুচলেকা ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আটককৃত যুবক মাঈদুল ইসলাম জানান, আমি বিয়ে করেছি ২০১৭ সালে। আর যে মামলায় আটক করা হলো, সেই মামলা হয়েছে ২০১১ সালে। আমার নামে থানা কিংবা আদালতে কোন মামলা নাই। নামের মিল থাকায় না যেনে না শুনে পুলিশ আটক করলে আমি অবাক হই। পুলিশ আমার চার ঘন্টা সময় নষ্ট করেছে যেটা কারো কাম্য নয়। এতে আমি প্রচন্ড অপমানিত বোধ করছি।
মালার বাদী হাসিনা বেগম (হাসি) বলেন, আমি যে মাইদুলের নামে মামলা করেছি সে সৌদিতে থাকে। আমার সন্তানের বাবা সে। ১২ বছর আগে মামলা করেছিলাম। আমি শুনেছি কয়েকদিন আগে দেশে এসে আবার সৌদিতে চলে গেছে। মাইদুল ইসলাম নামে কে আটক হয়েছে তা আমি জানি না।
চিলমারী ইউনিয়নের ১ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য মো.জাকিউল ইসলাম বলেন, মাঈদুল ইসলামকে আটক করার কথা শুনে থানায় এসে মুচলেকা দিয়ে মাঈদুলকে নিয়ে আসি।
এবিষয়ে চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, ওয়ারেন্ট ও সাজা প্রাপ্ত আসামী হিসাবে ও একই নাম ঠিকানা হওয়ায় মাঈদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছিল পরে তদন্ত করে সত্যত্বা নিশ্চিত করে জানা যায় আটককৃত মাঈদুল ইসলাম উক্ত মামলার আসামী নয়, তাই স্থানীয় ইউপি সদস্যর মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।