দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন বণ্টনের হিসাবে স্বতন্ত্র ৬২ জন সংসদ সদস্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিবেচনায় আওয়ামী লীগ ৫০ সংরক্ষিত আসনের মধ্যে সব মিলিয়ে পাচ্ছে ৪৮টি। আর বাকি দুটি পাবে জাতীয় পার্টি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টনের বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের ১৪ দলীয় শরিক ও স্বতন্ত্র এমপিদের সমর্থন-সংক্রান্ত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্বাদশ সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে চিঠি হস্তান্তর করেন।
চিঠি হস্তান্তরের পর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের বিষয়ে আমরা কাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছি, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্র নিয়ে এসেছি।’
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের স্বতন্ত্র ৬২ জন সংসদ সদস্য সমর্থন দেবেন। সেই সমর্থনসূচক আলাদা আলাদা চিঠি তাদের স্বাক্ষরসহ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে সন্নিবেশিত করে ইসি সচিবের কাছে জমা দিয়েছি। কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, ১৪ দলীয় শরিক জাসদ ১টি ও ওয়ার্কার্স পার্টি ১, স্বতন্ত্র ৬২ জন, কল্যাণ পার্টি ১টি ও জাতীয় পার্টি ১১টি আসন পেয়েছেন। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮টি, জাতীয় পার্টি ২টি ও স্বতন্ত্ররা ১০টি আসন পায়। কিন্তু স্বতন্ত্র ৬২ প্রার্থী আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ায় আওয়ামী লীগই ৪৮টি আসন পাবে।
সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটের সদস্যদের পৃথক তালিকা প্রস্তুত করার বাধ্যবাধকতা আছে। তবে এবার অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্ররা বিজয়ী হওয়ার সংরক্ষিত নারী আসনগুলো নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়।