অনেকেই রয়েছেন যাদের দেখলে মনে হয় তরুণ। বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও তাদের মুখে মোটেও নেই বয়সের ছাপ। কোলাজেন ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। খাদ্যাভ্যাসে বদল এনে শরীরে কোলাজেনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। মূলত প্রাণীজ প্রোটিন কোলাজেনের ভালো উৎস। এমন কিছু খাবার আছে যা শরীরে কোলাজেন উৎপাদনের হার বাড়াতে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কোলাজেন নামক প্রোটিনের ভূমিকা অনেকটা। ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি থেকে চুলের গোড়া মজবুত করা সব কিছুতেই প্রয়োজন হয় এই প্রোটিনের। তবে বাড়তি বয়সের সঙ্গে শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। তা ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, দূষণ, ধূমপানের অভ্যাস শরীরে এই প্রোটিন উৎপাদনের হার আরও কমিয়ে দেয়। যার কারণে অকালেই চেহারায় বয়েসের ছাপ পড়ে, চামড়া ঝুলে যায়, ত্বকের জেল্লা, চুলের নানা সমস্যায় জেরবার হতে হয়।
চলুন জেনে নিই যে খাবারগুলো নিয়মিত খেলে চেহারায় পড়বে না বয়সের ছাপ
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার : অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, টফু, কটেজ চিজ, মাছ, দুধ ইত্যাদি শরীরে খেলে অ্যামিনো অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। ফলে কোলাজেন উৎপাদনের হারও বেড়ে যায়।
হাড়ের স্যুপ :
চিকেন বা খাসির মাংসের হাড় অনেকেই ফেলে দেন। তবে যৌবনের জেল্লা ধরে রাখতে চাইলে কিন্তু হাড় দিয়েই স্যুপ বানিয়ে ফেলতে পারেন। হাড় দিয়ে তৈরি স্যুপে ভরপুর মাত্রায় কোলাজেন থাকে। মাঝেমধ্যে এমন স্যুপে চুমুক দিতেই পারেন।
ভিটামিন সি : কোলাজেন উৎপাদনে এই ভিটামিনেরও যথেষ্ট ভূমিকা আছে। ত্বক ও চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টটির জুড়ি মেলা ভার। তাই ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে টক জাতীয় ফল। পেঁপে, টম্যাটো, কাঁচা লঙ্কা লাল ও হলুদ বেলপেপার ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে।