বাংলা ভাষার চর্চাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং সাহিত্যের আভিজাত্য ও সৌন্দর্যকে ছড়িয়ে দিতে যাত্রা শুরু করল ‘বই-বিহঙ্গের` ষষ্ঠ শাখা ‘বই-বিহঙ্গ` ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। পাখি যেমন মুক্ত আকাশে ডানা মেলে ঘুরে বেড়ায়, বই-বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ঠিক তেমনি মুক্তভাবে সব বইপ্রেমী মানুষের কাছে পৌঁছতে চায়। এমনকি চায় সব মানুষের মধ্যে বইয়ের প্রতি ভালোবাসার জায়গা তৈরি করতে। পাঠকের মস্তিষ্কের উর্বরতা নিশ্চিত করতে পাঠকের দরজায় গিয়ে হাজির হতে চায় শুদ্ধ সাহিত্যের বই নিয়ে।
এমন প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ মাঠ সংলগ্নে একদল স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণীর হাত ধরে যাত্রা শুরু করল ‘বই-বিহঙ্গ’ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার। বিনা মূল্যে বইপ্রেমীরা তাদের পছন্দের বই পড়তে পারবে বই-বিহঙ্গ থেকে। ‘বই-বিহঙ্গ’ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা পাঠকের হাতে নিজেরাই পৌঁছে দেবেন বই। পড়া শেষে তারা আবার নিজেরাই গিয়ে বই সংগ্রহ করে নিয়ে আসবেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলিমুজ্জামান টুটুল (সাবেক প্রধান প্রকৌশলী)।এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাজমুল যায়েম (সাধারণ সম্পাদক, ইবিসাস) আরও উপস্থিত ছিলেন বই বিহঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শাখা প্রতিনিধি মামুন হোসেন, মো: সাব্বির খান ও তমা প্রমূখ।
শুরুতেই উদ্বোধনীর পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যদের মাঝে বই বিনিময়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বই-বিহঙ্গ। পাশাপাশি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ফরিদপুর জেলা, পাবনা জেলাসহ কয়েকটি ক্যাম্পাস এবং জেলায় কার্যক্রম শুরু করেছে ‘বই-বিহঙ্গ’। ক্রমান্বয়ে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, জেলা এবং একসময় উপজেলাগুলোকেও এই সেবার আওতায় আনা হবে। নিজ নিজ ক্যাম্পাস কিংবা জেলায় কোন কোন বই সংগ্রহে আছে তা ডাটাবেইসের মাধ্যমে অনায়াসে জানতে পারবে পাঠক।
বই-বিহঙ্গ পরিচালনা পর্ষদ মনে করে, বইয়ের প্রতিটি পাতার প্রতিটি শব্দের আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। সেই সৌন্দর্য এই প্রজন্মের মাঝে বিকশিত হলে আগামী প্রজন্মও একটি নিরাপদ পৃথিবী পেতে পারে। এমনকি বই-বিহঙ্গ হবে প্রজন্মের সাথে প্রজন্মের মেলবন্ধনস্বরূপ সেতুর মতো। সেই সেতুটা দাঁড়িয়ে থাকবে বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহার এবং সুন্দর ও সুশীল সাহিত্যের আভিজাত্যের ওপর।
পরিচালনা পর্ষদ আরো জানায়, বই-বিহঙ্গ প্রাথমিক পর্যায়ের শিশু, অভিভাবক, এমনকি বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের নিয়েও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করবে। এমনকি দেশের সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মসহ সকলের কাছে পৌঁছে দিতে আলাদাভাবে পরিকল্পনা সাজাবে। বই-বিহঙ্গ সদস্যরা বিশ্বাস করে, আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে যে যাত্রার শুরু হলো, তা ছড়িয়ে যাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। বইয়ের সেবা চলমান রাখতে বই-বিহঙ্গ বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছে তারা।