বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বহু বিতর্ক আর প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার পর চলতি আসর থেকে সাময়িক বিরতিতে যাচ্ছেন সিলেট স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক। দল থেকে সরে গিয়ে আপাতত জাতীয় সংসদে হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হুইপের দায়িত্ব পেয়েছেন মাশরাফি।
এদিকে মাশরাফির অনুপস্থিতির এই সময়ে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে দেখা যাবে সহ-অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে। দলের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সংবাদ জানানো হয়েছে। তবে পুরো আসরের জন্যই মাশরাফিকে ছাড়তে হচ্ছে না সিলেটের। দলটির প্রত্যাশা নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পর সুযোগ পেলে আবারও দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন তিনি। বিজ্ঞপ্তিতে দলের পক্ষ থেকে মাশরাফির এতদিনের নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
চলতি বিপিএলে অবশ্য শুরু থেকেই চাপের মাঝে আছেন মাশরাফি। নিজে পারফর্ম করছেন নিজের ছায়া হয়ে। বোলিংয়ে রানআপ কমিয়ে হয়েছেন অফ-স্পিনার। ব্যাটার হিসেবে রানিংয়ে ব্যাপক আকারে ভুগছেন। আবার তার দলও ভুগছে। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে সবকটিতেই দেখতে হয়েছে হারের মুখ। মাশরাফি এরমাঝে জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত হয়েছেন। সবমিলিয়ে দলকে যিনি একসুতোয় বেঁধে রাখার কারিগর, তিনিই হয়ত আছেন খানিকটা চাপের মাঝে।
ব্রডকাস্টিং পার্টনারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মাশরাফিরই সাবেক সতীর্থ মোহাম্মদ আশরাফুল প্রশ্ন তুলেছিলেন মাশরাফির ফিটনেস নিয়ে। তিনি সত্যিই খেলার মত অবস্থায় আছেন কিনা বা নিজ থেকে খেলতে আগ্রহী কিনা সেসব নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। মাশরাফি নিজেও জানিয়েছেন, ফিট না হয়ে খেলা আদর্শ না। কিন্তু সিলেট দলের ম্যানেজার স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজ মালিকপক্ষের চাওয়াতেই ম্যাশ নামছেন মাঠে।
আবার গতকাল থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হলেও মাশরাফি ছিলেন খেলার মাঠে। সবমিলিয়ে এই বিদায়টা কিছুটা প্রত্যাশিতই ছিল সবার জন্যে। মাশরাফিকে নিয়ে ধুঁকতে থাকা সিলেট, তাকে ছাড়া কেমন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।