নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে চতুর্থবার তার নাম প্রস্তাব করা হলো। মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘ঐতিহাসিক’ নীতির কথা উল্লেখ করে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চতুর্থবারের মতো শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘ঐতিহাসিক’ নীতির কথা উল্লেখ করে ক্লডিয়া টেনি নামে একজন রিপাবলিকান আইন প্রণেতা সাবেক প্রেসিডেন্টের নাম সামনে আনেন। ক্লডিয়া টেনির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আব্রাহাম অ্যাকর্ডস চুক্তিতে তার (ট্রাম্পের) ভূমিকার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তিনি এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এনডিটিভি বলছে, ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সম্পর্কোন্নয়ন চুক্তি তথা আব্রাহাম অ্যাকর্ডস স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছেন রিপাবলিকান ওই আইনপ্রণেতা। ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডস চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। পরে মরক্কো এবং সুদানও একই পথ অনুসরণ করে। ওই চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডস চুক্তির মাধ্যমে প্রধানত সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাভাবিক হয়।
বিবৃতিতে টেনি বলেছেন, ‘প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম নতুন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কয়েক দশক ধরে আমলা, বৈদেশিক নীতির ‘পেশাদার’ ব্যক্তিরা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা জোর দিয়ে বলে আসছিল, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে কোনও শান্তি চুক্তি অসম্ভব। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা মিথ্যা প্রমাণ করেছিলেন।’
এই মনোনয়নের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে রিপাবলিকান এই কংগ্রেসওম্যান বলেন, ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস প্রস্তুতে ট্রাম্পের সাহসী প্রচেষ্টা ছিল নজিরবিহীন। নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি তার (ট্রাম্পের) সেই অবদান অস্বীকার করে চলেছে। আর এটিই আজ তার মনোনয়নের প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে দিচ্ছে।’ টেনির দাবি, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে তার দেশ ‘দুর্বল নেতৃত্ব’ প্রত্যক্ষ করছে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে জো বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্ব যখন আমাদের দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে, তখন ট্রাম্পকে তার শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তি অর্জনের বিষয়ে তার প্রচেষ্টাকে আমাদের স্বীকৃতি দিতে হবে।’ তার ভাষায়, ‘আমি আজ সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে পেরে সম্মানিত এবং এই স্বীকৃতি তার প্রাপ্য।’