জমকালো আয়োজনে পাবনায় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত 

উৎসবে দুধ চিতই, রস মঞ্জুরি পিঠা, ঝাল পাটিসাপটা পিঠা, খলা ঝালি পিঠা, ঝাল পিঠা, নারকেল নাড়ু,  মুগ পাক্কন, পাটিসাপটা, বাশবোশা পিঠা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, ডিম পোয়া পিঠা, পুলি পিঠা, নারকেল পিঠা, নোনাস পিঠাসহ বিভিন্ন বাহারী নামের ও রকমের পিঠা টেবিলে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হ্যাপি টেকনোলজিস এর ব্যবস্থাপক আবু সাঈদ এর উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিজ হাতে বানানো প্রায় চার শতাধিক পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সহ নানান বয়সীরা। দারুণ এ আয়োজন দেখতে ও পিঠার স্বাদ নিতে উপজেলা অডিটরিয়ামে ছিল বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পদচারণা। বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা মানুষজন হৃদয় হরণ ফুলি পিঠা, নারিকেল পিঠা ও পাটি সাপটা পাকান পিঠা, দুধপিঠাসহ নানান ধরণের পিঠার স্বাদ নিয়েছেন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে তিনটা  থেকে উপজেলা অডিটরিয়ামে এ আয়োজন করা হয়। প্রায় এক যুগ ধরে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ পিঠার সঙ্গে নানান শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে  পরিচয় করিয়ে দিতে শীতের মৌসুমে এ আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহারুল ইসলাম, আটঘরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি  হাদিউল ইসলাম, ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার মিয়া মোহাম্মদ আহসানুল কবির, আটঘরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলাম।  এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক,  মৎস্য কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন সহ অনেকেই। উক্ত ৯তম পিঠা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন হ্যাপি টেকনোলজিস এর ব্যবস্থাপক আবু সাঈদ।
পিঠা উৎসব দেখতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ পৌষ মাসে পিঠা উৎসব হয়ে থাকে। তবে শীত মানেই বাড়িতে বাড়িতে পিঠা উৎসব। যদিও এখন আর গ্রাম ছাড়া শহরে পিঠা দেখা যায় না। খাওয়াতো অনেকে দূরে, অনেক পিঠার নামও এখন মনে পড়ে না। এখন শহরের মানুষের একমাত্র ভরসা রাস্তার পাশে বানানো চিতই আর ভাপা পিঠা। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আবু সাঈদ বলেন, প্রায় ১ যুগ ধরে শীতকালে আমরা পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আসছি। সবগুলো পিঠা অভিভাবকদের সহযোগীতায় শিক্ষার্থীরা বানিয়েছে। এবার নতুন নতুন ধরণের পিঠা দেখছি। দারুণভাবে উপভোগ করছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজনের উপস্থিতি সরব রয়েছে। আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন বলেন, পিঠা উৎসব অসাধারণ একটি আয়োজন ছিল। পিঠা গুলো যেভাবে টেবিলে  সাজিয়ে রাখা হয়েছে তা আসলেই সুন্দর লাগছে।
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহারুল ইসলাম বলেন, আমি সব ঘুরে দেখেছি। সত্যিই আমি অভিভূত। এতো পিঠা উঠেছে, এরমধ্যে অনেক পিঠার নাম আমি নিজেও জানি না। গ্রামীণ ঐতিহ্য ধারণে এ আয়োজন প্রশংসনীয়। এ উৎসবটি পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে। এতে ডাল পাকন, শুকনা পিঠা, লতা পিঠা, শামুক পিঠা, সাকুর পিঠা, পদ্মার ইলিশ পিঠা, পাটি সাপটা, পান্তুয়া, জেলি কেক, বরফি, দুধ চিতল, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, ঝুনঝুনি পিঠা, মুগ পাকন, ক্ষীর পাটি সাপটা, হৃদয় হরণ ও নারিকেল বেলি পিঠাসহ প্রায় সাড়ে তিনশত শতাধিক পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম। পিঠা উৎসবে সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম।
শেয়ার করুন:

Recommended For You