বঙ্গোপসাগরে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে কাঙ্খিত মাছ না পাওয়ায় অন্য একটি ট্রলারের মাছ ডাকাতি করার প্রস্তাবের রাজি না হওয়ায় ট্রলারে মধ্যে দুপক্ষের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে, আহতরা পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হানিফা, আফান, মো. রাশেদ, হেলাল, বেলাল বলেন, ২৪ জানুয়ারি সকালে আলম মোল্লার মালিকানা এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারে আমরা ১৭ জন জেলে পাথরঘাটার লঞ্চঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে যাই। কয়েকদিন ধরে সাগরে এই ট্রলারে কাঙ্খিত মাছ না পাওয়ায় ট্রলারের মাঝি জয়নাল অপর ট্রলারে ডাকাতি করতে বললে তাতে রাজি না হওয়ায় মারধর করে। আমাদের মধ্যে হেলালের মাথায় ১৪টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
ট্রলার মাঝি জয়নাল বলেন, ডাকাতির করানোর কথা সম্পুর্ণ মিথ্যা, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। জাল টানা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে জেলেদের মধ্যে কেহ গুরুতর আহত হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, কয়েকজন আহত জেলে ভর্তি হয়েছে, চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া আঘাতের বিষয় বলা যাচ্ছে না। তবে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো দরকার হতে পারে।
বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান নাদিরার জ্যেষ্ঠ কন্যা ফারজানা সবুর রুমকি জেলেদের দেখতে এসে বলেন, শুনেছি সাগরে ডাকাতিরে রাজি না হওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আমি তাৎক্ষণিক আহতদের খোজ খবর নিয়েছি, তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। তবে অন্যায় অপরাধ সংগঠিত হলে ছাড় দেয়া হবে না। পাথরঘাটা থানা তদন্ত ওসি সাইফুজ্জামান বলেন, এ রকমের ঘটনা শুনেছি। তদন্ত চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
